রাজধানীর তুরাগ ও মিরপুর থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নাটোর এন এস সরকারি কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক দস্তগীর ইসলাম সজীব (২৩) এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য মো. জাহিদ সরকারকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া এলাকা ও মিরপুর-১১ মেট্রোরেল স্টেশন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেলা ১২টার দিকে তুরাগের বাউনিয়া এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দস্তগীর ইসলাম সজীবকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি বিভাগের একটি দল।
সজীব নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন। সরকারের পতনের পর তিনি নাটোর থেকে ঢাকায় এসে আত্মগোপন করেন এবং রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণ করে ‘জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি’ করার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন।
সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত সজীব মিছিলের আগে নিজে ককটেল তৈরি করে বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়াতেন।
সর্বশেষ ১৬ অক্টোবর গুলশান থানাধীন হাতিরঝিল সংলগ্ন পুলিশ প্লাজার সামনে এক ঝটিকা মিছিলে অংশ নিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান এবং সেই ঘটনাটি ফেসবুক লাইভে প্রচার করেন। তার বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় হত্যাসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে।
একইদিন দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর মিরপুর-১১ মেট্রোরেল স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য মো. জাহিদ সরকারকে গ্রেফতার করে সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন (সিটিআই) টিম।
ডিএমপি জানায়, জাহিদ সরকারের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় তিনটি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত দুই জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে ডিএমপি।

ডেস্ক রিপোর্ট 

























