নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি মরদেহ শনাক্ত

গত ১২ মার্চ ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পড়ে। ৬৭ যাত্রী ও চার পাইলট-ক্রুসহ দুপুর সোয়া ২টার দিকে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়।

এ বিমান দুর্ঘটনায় ৫১ যাত্রীর মৃত্যু হয়। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। মোট ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপ ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, নারী ২৮ ও দু’জন শিশু ছিল।

এদিকে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৪ বাংলাদেশির মরদেহ শনাক্ত করেছে নেপাল কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে তিনজন পাইলট ও ক্রু রয়েছেন। এছাড়া শনাক্তের তালিকায় নেপালের ১০ জন এবং চীনের একজন রয়েছেন।

শনাক্ত বাংলাদেশিরা হলেন- আবিদ সুলতান, পৃথুলা রশীদ, খাজা সাইফুল্লাহ, জামান অনিরুদ্ধ, তাহিরা তানভীন শশী রেজা, মিনহাজ বিন নাসির, মো. রবিউল হাসান, মো. মতিউর রহমান, মো. রফিকুজ্জামান, মোছা. আক্তারা বেগম, মো. হাসান ইমাম, তামাররা প্রিয়ন্ময়ী, এস এম মাকসুদুর রহমান ও বিলকিস আরা।

তবে এখন পর্যন্ত ২৫টি মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। এখনও যাদের মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি তাদের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করতে হবে।