ঢাকার শিবিরে সাদ্দামের আঘাত

খুলনার দেয়া ১২৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দানবীয় ভাবে শুরু করে দুই ওপেনা। নারাইন ও থারাঙ্গা জুটি ওপেনিংয়ে ৪৩ রান করে। তবে তাণ্ডব চালানো নারাইনকে শেষ পর্যন্ত বিদায় করেন সাদ্দাম। নিজের প্রথম ওভারে এসেই চতুর্থ বলে ফেরান তাকে। তবে ১৭ রান দিয়েছেন সাদ্দাম। নারাইন চারটি ছক্কায় ও ২ চারে ১৩ বলে ৩৫ রান করে মালানের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন।

এ রিপোট লেখা পর্যন্ত ঢাকার সংগ্রহ ৪ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫২ রান।

এর আগে বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় ঢাকা ডায়নামাইটস ও খুলনা টাইটান্স। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় ৬টায় ৩০ মিনিটে শুরু হয় ম্যাচটি। বাঁচা-মরার ম্যাচে এই টসে হেরে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধন্ত নিয়েছে খুলনার অধিনায়ক মাহমদউল্লাহ রিয়াদ।

ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় খুলনা। খুলনার হয়ে ভালো খেলা জুনায়েদ সিদ্দিকী ৫ বলে ২ রানে রুবেলের বলে উপল থারাঙ্গার হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন। এর পরেই সাকিবের আঘাত। ব্রেন্ডন টেলরকে ১৮ রানে ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।

এরপর আবারও রুবেলে আঘাত। ডেভিড মালানকে এলভির ফাঁদে ফেলে ফিরিয়ে দেন তিনি। ১০ বলে ৭ রান করে বিদায় নেন মালান। মালান আউট হলেও খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও নাজমুল হোসেন শান্ত দলকে এ গিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তরুণ পেসার কাজী অনিকের এক দুর্দান্ত বলে সরাসরি বোল্ট হয়ে ফিরে যান তিনি। ১৭ বলে ১৪ রান করেন তিনি।

অধিনায়কের পর ফিরে গেলে আল আমিন। সুনিল নারাইনে বলে ১২ বলে ১২ রান করে ফিরে যান তিনি। আল আমিন আউট হলেও ভালো খেলছিলেন নাজমুল। কিন্তু সাকিবের দুর্দান্ত বলে সরাসরি বোল্ট হলে ফিরে যান তিনি। ১ ছয় ১ চারে ২০ বলে ২৪ রান করেন।

এরপর ক্রিজে আসেন বোলার তাইজুল সবার বিপর্যয়ে মোটামুটি ভালো খেলছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যভাবে রান আউট হয়ে ফিরে যান তিনি। ১১ বলে ১২ রান করেন তিনি। শেষ দিকে ডেভিড ভিসার ব্যাটিংয়ে একটা ফাইটিং স্কোর দাড় করায় খুলনা। এক রান করে রান আউট হন সাদ্দাম। ২৭ বলে ৩০ রান করে রান আউট হন ভিসা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান করে খুলনা। আর জিততে হলে ২০ ওভারে ১২৪ রান করতে হবে ঢাকাকে।