দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ, পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি

এবার প্রাথমিক হিসাবের সঙ্গে ৪৭ লাখ ৭০ হাজার যোগ হয়ে দেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। আজ রবিবার জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনার প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। গত বছরের ১৫-২১ জুন দেশে জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

প্রথম এই ডিজিটাল শুমারি শেষের এক মাসের মধ্যে ২৭ জুলাই প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তখন জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন বলা হয়। আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী শুমারির পর বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) গত বছরের অক্টোবরে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে শুমারি পরবর্তী যাচাই (পিইসি) জরিপ পরিচালনা করে। তাতে জনসংখ্যার সমন্বয়কৃত চূড়ান্ত হিসাব পাওয়া যায়।

প্রাথমিক হিসাব থেকে জনসংখ্যা ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ২৯৫ জন বেড়ে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন হয়েছে। সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যার ৪৯ দশমিক ৫১ শতাংশ বা আট কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার ২০৩ জন পুরুষ, ৫০ দশমিক ৪৩ শতাংশ বা ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২০ জন নারী, দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বা ১২ হাজার ৬২৯ জন হিজড়া জনগোষ্ঠী এবং ৮৫ হাজার ৯৫৭ জনের লিঙ্গ পরিচয় জানা যায়নি।

মোট জনসংখ্যার ৬৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ বা ১১ কোটি ৬০ লাখ ৬৬ হাজার ৯২৫ জন গ্রামে এবং ৩১ দশমিক ৬৬ শতাংশ বা ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৮৬ জন শহরে বাস করে। এছাড়াও জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এ ১৭ হাজার ৫০৭টি থানার ৮৫ হাজার ৯৫৭ জনের আংশিক তথ্য পাওয়া গেছে, যাদের লিঙ্গসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি শুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।