আওয়ামী লীগ ‘অর্গানাইজড ক্রিমিনাল গ্যাং’, সেনা ও শাপলা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং তারা ‘ডাকাতদের চেয়েও নৃশংস’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সমন্বয় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
আখতার হোসেন বলেন, ‘লীগ পালিয়ে হুমকি দিচ্ছে। পুনর্বাসিত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে তারা। কিন্তু গণহত্যা আর আয়নাঘর প্রতিষ্ঠা, সেনা ও শাপলা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসিত হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই, তারা অর্গানাইজড ক্রিমিনাল গ্যাং, ডাকাতদের চেয়েও নৃশংস।’
তিনি অভিযোগ করেন, লীগ তার ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েমের জন্য দেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছিল।
নতুন বাংলাদেশকে সম্প্রীতির বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে আখতার বলেন, ‘বাগছাস’ সকল ধর্ম-বর্ণ আর সম্প্রদায়ের ভেদাভেদ না করে কাজ করে যাবে।
তিনি জানান, বাগছাস-এর প্রধান কাজ হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘গেস্টরুম কালচার’ রুখে দেয়া। পাশাপাশি কোনো প্রশাসন যেন দলের তাঁবেদারি না করতে পারে, তা বাস্তবায়নে তিনি কর্মীদের প্রতি কাজ করার আহ্বান জানান।
আখতার হোসেন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, সাধারণ মানুষের স্বপ্ন যেখানে দুর্নীতিমুক্ত দেশ, সেখানে রাজনৈতিক দলগুলো দেশকে গণতান্ত্রিক কাঠামোতে রাখতে চায় না এবং জবাবদিহির রাজনীতি তারা চায় না। তার মতে, প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে দেশের স্বার্থে কাজ করতে বাধ্য করাই হবে ছাত্রদের কাজ। বাগছাস ডান-বামের বাইরে গিয়ে মধ্যমপন্থি রাজনীতি করতে চেয়েছে।
ঐকমত্য কমিশনে এনসিপির ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, এনসিপি গণতান্ত্রিক প্রস্তাবনাগুলো উপস্থাপনে ভূমিকা রেখেছে, কিন্তু বড় দলগুলোর কারণে অনেক প্রস্তাবনা বাধার সম্মুখীন হয়েছে।
জুলাই সনদ নিয়ে তিনি বলেন, সনদে স্বাক্ষরের পর রাজনৈতিক দলগুলো দুই ভাগ হয়ে গেছে। সনদের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের পথরেখা পরিষ্কার হলেই কেবল এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে। তিনি মনে করেন, কেবল রাজনৈতিক সচেতন জনগোষ্ঠীই দেশকে গণতান্ত্রিক চর্চার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

ডেস্ক রিপোর্ট 

























