২০১৯ সালে ঘুষের টাকাসহ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হাতে গ্রেফতার এবং সম্প্রতি আদালতে দোষী সাব্যস্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আজিমেল কদরকে পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ফটিকছড়ির শিক্ষক সমাজে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অনেক শিক্ষক প্রশ্ন তুলেছেন, যে ব্যক্তি দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত, তাঁকে কীভাবে আবার শিক্ষা অফিসের মতো সংবেদনশীল পদে নিয়োগ দেওয়া হলো?
সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে বেড়াজালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার কাছ থেকে বদলির বিনিময়ে ঘুষ গ্রহণের সময় দুদকের হাতে হাতেনাতে ধরা পড়েন আজিমেল কদর। ২০২০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর বিচার শেষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত তাঁকে ২ বছর ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও জরিমানা করেন। এমন একজন কর্মকর্তাকে আবারও ফটিকছড়ি উপজেলায় দায়িত্ব দেওয়ায় শিক্ষক সমাজে প্রশ্ন উঠেছে— দুর্নীতিবাজদের জন্যই কি প্রশাসনের দরজা খোলা?
একাধিক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এ সিদ্ধান্তের কারণে সৎ ও পরিশ্রমী কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁরা বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ডেস্ক রিপোর্ট 

























