ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ইসরাইলের ১৬ জনেরও বেশি পাইলট নিহত: ইরান-ইসরাইল ১২ দিনের যুদ্ধে তেহরানের দাবি জামায়াত-শিবির বহুরূপী রাজনীতি করে পশ্চিমারা উস্কানি দিলে চূড়ান্ত জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি রাশিয়ার এবার নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতরাও ভোট দিতে পারবেন: সিইসি অনেকেই মনে করছেন আমি জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত, সমস্যা নেই শুধু আ.লীগ না বানালেই চলবে: ইলিয়াস দেশ ছেড়ে পালাব না, সুশাসন ফিরিয়ে আনব: নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানকে যে মানে না, সে তার বাপকেও মানে না: হাবিব ড. ইউনূসের মাঝে জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই: মির্জা ফখরুল জামায়াত সুসংগঠিত দল, তবে ভোটের মাঠে তাদের জয় সম্ভব নয়: মির্জা ফখরুল ইসরায়েল নাৎসি বাহিনীর হাতে গণহত্যার শিকার হয়েও কোন শিক্ষাই গ্রহণ করেনি: মাহাথির মোহাম্মদ

বাংলাদেশ আর কখনও স্বৈরশাসনের পথে ফিরবে না: প্রধান উপদেষ্টা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১০:২৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ আর কখনও স্বৈরশাসনের পথে ফিরবে না। দেশের গণতন্ত্র আর কখনও হুমকির মুখে পড়বে না। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে সংস্থাটির ৮০তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি এ ভাষণ দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দল-মত নির্বিশেষে গঠিত ঐকমত্যের ভিত্তিতেই দেশের গণতন্ত্র ও সংস্কার কার্যক্রম টেকসইভাবে এগিয়ে যাবে। জনগণের আত্মত্যাগে অর্জিত ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠনের প্রক্রিয়াকে আর কোনো শক্তি বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।

প্রধান উপদেষ্টা স্মরণ করিয়ে দেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের দাবিতে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্ম। কিন্তু গত পাঁচ দশকে সেই অধিকার বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে আর জনগণকে বারবার সেই অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আত্মত্যাগ করতে হয়েছে।

ড. ইউনূস জানান, গত বছর ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে’ তরুণসমাজ স্বৈরাচারকে পরাজিত করেছিল। সেই অভ্যুত্থান বৈষম্যমুক্ত ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের নতুন পথ খুলে দিয়েছে এবং সে দায়িত্বই জনগণ তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন।

ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জানান, নির্বাহী আদেশে সংস্কার চালানো সম্ভব হলেও তার সরকার বেছে নিয়েছে কঠিন পথ—একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রক্রিয়া। এ জন্য বিচার বিভাগ, শাসনব্যবস্থা, নির্বাচন, জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা, দুর্নীতি দমন, নারী অধিকারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে ১১টি স্বাধীন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, এই কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি করতে ৩০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল ও জোটকে নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এর ফলস্বরূপ গত জুলাই মাসে সব দল একযোগে ‘জুলাই ঘোষণা’র মাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রমে তাদের সময়বদ্ধ অঙ্গীকার করে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এই অঙ্গীকারের কারণে আগামী নির্বাচনে যে দলই জনগণের সমর্থন পাক না কেন, সংস্কার বাস্তবায়নে কোনো অনিশ্চয়তা থাকবে না।

 

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরাইলের ১৬ জনেরও বেশি পাইলট নিহত: ইরান-ইসরাইল ১২ দিনের যুদ্ধে তেহরানের দাবি

বাংলাদেশ আর কখনও স্বৈরশাসনের পথে ফিরবে না: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১০:২৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ আর কখনও স্বৈরশাসনের পথে ফিরবে না। দেশের গণতন্ত্র আর কখনও হুমকির মুখে পড়বে না। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে সংস্থাটির ৮০তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি এ ভাষণ দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দল-মত নির্বিশেষে গঠিত ঐকমত্যের ভিত্তিতেই দেশের গণতন্ত্র ও সংস্কার কার্যক্রম টেকসইভাবে এগিয়ে যাবে। জনগণের আত্মত্যাগে অর্জিত ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠনের প্রক্রিয়াকে আর কোনো শক্তি বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।

প্রধান উপদেষ্টা স্মরণ করিয়ে দেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের দাবিতে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্ম। কিন্তু গত পাঁচ দশকে সেই অধিকার বারবার বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে আর জনগণকে বারবার সেই অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আত্মত্যাগ করতে হয়েছে।

ড. ইউনূস জানান, গত বছর ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে’ তরুণসমাজ স্বৈরাচারকে পরাজিত করেছিল। সেই অভ্যুত্থান বৈষম্যমুক্ত ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের নতুন পথ খুলে দিয়েছে এবং সে দায়িত্বই জনগণ তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন।

ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জানান, নির্বাহী আদেশে সংস্কার চালানো সম্ভব হলেও তার সরকার বেছে নিয়েছে কঠিন পথ—একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রক্রিয়া। এ জন্য বিচার বিভাগ, শাসনব্যবস্থা, নির্বাচন, জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা, দুর্নীতি দমন, নারী অধিকারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে ১১টি স্বাধীন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও জানান, এই কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরি করতে ৩০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল ও জোটকে নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এর ফলস্বরূপ গত জুলাই মাসে সব দল একযোগে ‘জুলাই ঘোষণা’র মাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রমে তাদের সময়বদ্ধ অঙ্গীকার করে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এই অঙ্গীকারের কারণে আগামী নির্বাচনে যে দলই জনগণের সমর্থন পাক না কেন, সংস্কার বাস্তবায়নে কোনো অনিশ্চয়তা থাকবে না।