খাগড়াছড়িতে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র-জনতা ডাকা অবরোধকে ঘিরে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২৭ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত স্বনির্ভর, নারায়ণখাইয়া, চেঙ্গী স্কয়ার, মহাজন পাড়া ও নারিকেল বাগান এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় সশস্ত্র মহড়া এবং ফাঁকা গুলির শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো শহরে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুপুর ২টা থেকে খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। কিন্তু সংঘর্ষ থামেনি। বিকেল ৪টার পর অতিরিক্ত পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি মাঠে নামলে জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের তথ্যমতে, আহতদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ এবং দুজন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন। বাকিরা দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেলে জখম হয়েছেন।
জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, জননিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসন সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখনও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। খাগড়াছড়ি ব্যাটালিয়ন ৩২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কামরান কবীর উদ্দিন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে মাঠে ৭ প্লাটুন বিজিবি কাজ করছে।
উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় গত মঙ্গলবার রাতে এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় সংগঠন জুম্ম ছাত্র-জনতা এ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয়। অবরোধ ও সংঘর্ষের কারণে খাগড়াছড়িতে আটকা পড়েছেন হাজারো পর্যটক।