ঢাকা , রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ইসরাইলের ১৬ জনেরও বেশি পাইলট নিহত: ইরান-ইসরাইল ১২ দিনের যুদ্ধে তেহরানের দাবি জামায়াত-শিবির বহুরূপী রাজনীতি করে পশ্চিমারা উস্কানি দিলে চূড়ান্ত জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি রাশিয়ার এবার নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতরাও ভোট দিতে পারবেন: সিইসি অনেকেই মনে করছেন আমি জামায়াতের সঙ্গে যুক্ত, সমস্যা নেই শুধু আ.লীগ না বানালেই চলবে: ইলিয়াস দেশ ছেড়ে পালাব না, সুশাসন ফিরিয়ে আনব: নেপালের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানকে যে মানে না, সে তার বাপকেও মানে না: হাবিব ড. ইউনূসের মাঝে জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই: মির্জা ফখরুল জামায়াত সুসংগঠিত দল, তবে ভোটের মাঠে তাদের জয় সম্ভব নয়: মির্জা ফখরুল ইসরায়েল নাৎসি বাহিনীর হাতে গণহত্যার শিকার হয়েও কোন শিক্ষাই গ্রহণ করেনি: মাহাথির মোহাম্মদ

ইরানি জনগণ স্বাধীনতা ফিরে পাবে ও তেহরানকে মহান করবে: নেতানিয়াহু

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১১:১৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫৪৪ বার পড়া হয়েছে

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই মধ্যপ্রাচ্যে নাটকীয় পরিবর্তন আসবে এবং ইরানে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটতে পারে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দমন-নিপীড়ন সহ্য করা ইরানি জনগণ একদিন তাদের স্বাধীনতা ফিরে পাবে এবং ইরানকে আবার মহান করে তুলবে।

নেতানিয়াহু বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান একাধিক গণ-অভ্যুত্থানের সাক্ষী হয়েছে, যা ইসলামী প্রজাতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যারা আজ ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে তারা একদিন বিলীন হয়ে যাবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠাকারীরা তাদের স্থান নেবে। ইরানের ক্ষেত্রেই এই পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি সত্য হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তার ভাষণে ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে ভবিষ্যতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের কথাও বলেন নেতানিয়াহু। তিনি মনে করিয়ে দেন, ১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের আগে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন সম্পর্ক ছিল। শাহকে উৎখাতের পর আয়াতুল্লাহদের নেতৃত্বে দেশটি ধর্মতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হলে ইসরাইলের প্রতি বৈরিতা শুরু হয়। এরপর থেকে ইরান হামাস, হিজবুল্লাহ, হুতি ও অন্যান্য শিয়া মিলিশিয়াদের ব্যবহার করে ইসরাইলবিরোধী যুদ্ধ চালিয়ে আসছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, চলতি বছরের জুনে ইসরাইল ও ইরান ১২ দিনের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে, যা ছিল দীর্ঘ সময়ের মধ্যে তাদের প্রথম বড় সরাসরি সংঘর্ষ। এ সময়ে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে এবং বিপ্লবী গার্ডের উচ্চপদস্থ বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের অস্ত্রাগারও লক্ষ্যবস্তু করা হয়।

নেতানিয়াহু অভিযোগ করেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির লক্ষ্য আসলে অস্ত্র তৈরি করা। তবে তেহরান বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ইসরাইলের ১৬ জনেরও বেশি পাইলট নিহত: ইরান-ইসরাইল ১২ দিনের যুদ্ধে তেহরানের দাবি

ইরানি জনগণ স্বাধীনতা ফিরে পাবে ও তেহরানকে মহান করবে: নেতানিয়াহু

আপডেট সময় ১১:১৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই মধ্যপ্রাচ্যে নাটকীয় পরিবর্তন আসবে এবং ইরানে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটতে পারে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দমন-নিপীড়ন সহ্য করা ইরানি জনগণ একদিন তাদের স্বাধীনতা ফিরে পাবে এবং ইরানকে আবার মহান করে তুলবে।

নেতানিয়াহু বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান একাধিক গণ-অভ্যুত্থানের সাক্ষী হয়েছে, যা ইসলামী প্রজাতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, যারা আজ ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে তারা একদিন বিলীন হয়ে যাবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠাকারীরা তাদের স্থান নেবে। ইরানের ক্ষেত্রেই এই পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি সত্য হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তার ভাষণে ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে ভবিষ্যতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের কথাও বলেন নেতানিয়াহু। তিনি মনে করিয়ে দেন, ১৯৭৯ সালের ইরানি বিপ্লবের আগে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন সম্পর্ক ছিল। শাহকে উৎখাতের পর আয়াতুল্লাহদের নেতৃত্বে দেশটি ধর্মতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হলে ইসরাইলের প্রতি বৈরিতা শুরু হয়। এরপর থেকে ইরান হামাস, হিজবুল্লাহ, হুতি ও অন্যান্য শিয়া মিলিশিয়াদের ব্যবহার করে ইসরাইলবিরোধী যুদ্ধ চালিয়ে আসছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, চলতি বছরের জুনে ইসরাইল ও ইরান ১২ দিনের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে, যা ছিল দীর্ঘ সময়ের মধ্যে তাদের প্রথম বড় সরাসরি সংঘর্ষ। এ সময়ে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে এবং বিপ্লবী গার্ডের উচ্চপদস্থ বাহিনীর ওপর হামলা চালায়। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের অস্ত্রাগারও লক্ষ্যবস্তু করা হয়।

নেতানিয়াহু অভিযোগ করেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির লক্ষ্য আসলে অস্ত্র তৈরি করা। তবে তেহরান বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস