শেখ হাসিনার বিদায়ের পর অর্থাৎ ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের রাজনীতির ময়দানে বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। সংস্কার, জুলাই সনদ ও নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বিএনপির অবস্থানের বিপরীতে দাঁড়ানো এই দলটি একসময় ছিল বিএনপির সহযাত্রী।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্পষ্ট ভাষায় বলেন, জামায়াত যদিও সুসংগঠিত, তবু তাদের ভোটের মাঠে জেতা সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ হওয়া ও জাতীয় পার্টির কার্যক্রম প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়ায় জামায়াত এখন সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও জনগণের মধ্যে তাদের প্রভাব বাড়েনি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “জামায়াত যে ভাবেই হোক লাইম লাইটে চলে এসেছে। মিডিয়া এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা একটি জায়গায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু মাঠের রাজনীতি করতে গিয়ে আমি দেখেছি—জনপ্রিয়তার দিক থেকে খুব বেশি কিছু নেই।”
তিনি আরও বলেন, জামায়াতের সুবিধা হলো তারা অত্যন্ত সংগঠিত, একটি রেডিমেন্টেড রাজনৈতিক দল এবং যথেষ্ট ফান্ড আছে। এটা তাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট হলেও জনগণের কাছে গিয়ে নির্বাচন পুরোপুরি জিতে যাওয়া—এমন কিছু সম্ভব নয়।
বিএনপি মহাসচিব বৈশ্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কথাও উল্লেখ করেন। তার মতে, সারা পৃথিবীর মতো বাংলাদেশেও দক্ষিণপন্থী রাজনীতির উত্থানের চেষ্টা চলছে। তবে এই প্রবণতা ভোটের মাঠে কার্যকর হবে না বলেই তিনি বিশ্বাস করেন।
আলোচনার এক পর্যায়ে বিএনপি মহাসচিব আশ্বাস দেন যে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যথাসময়ে দেশে ফিরবেন। তিনি বলেন, “সময়মতো তারেক রহমান দেশে আসবেন, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।”