ঢাকা , শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সংবিধানে গণভোট নেই, কথায় কথায় রাস্তায় নামবেন না: আমীর খসরু হাসিনাকে প্রমোট করতে ভারত সর্বশক্তি ব্যবহার করছে: দাবি রনির মঞ্জু ভাই টাচ করে কথা বলা পছন্দ করতেন, শোল্ডার- হাতে ধরতো: বিস্ফোরক মন্তব্য সাবেক অধিনায়কের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের নাম সরিয়ে নিলো যুক্তরাষ্ট্র উন্মুক্ত মাঠে এবছরের সব তাফসির মাহফিল স্থগিত ঘোষণা করলেন মিজানুর রহমান আজহারী আরিফিন শুভর রাজউকের ১০ কাঠার প্লট ফিরিয়ে দিতে বললেন পরিচালক শেখ হাসিনা ও আ. লীগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে: প্রেসসচিব দুর্নীতি-দুঃশাসন মুক্তিতে কারও সাথে আপস করবে না জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান জবিতে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে জমকালো কাওয়ালি সন্ধ্যা দলগুলো না পারলে গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: প্রেস সচিব

পৃথিবীতে অনেকে জ্ঞান অর্জন করলেও উপলব্ধি করতে পারে না: শিবির সভাপতি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১২:৫৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৫২ বার পড়া হয়েছে

ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘পৃথিবীতে অনেকে জ্ঞান অর্জন করে। কিন্তু উপলব্ধি করতে পারে না। আপনারা বেশি বেশি পড়বেন, উপলব্ধি করবেন। জ্ঞানকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়– একটা দুনিয়াবি আর একটা পরকালীন। কিন্তু এটা ভাগ হওয়া উচিত উপকারী ও অপকারী হিসেবে।’

 

 

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে ছাত্রশিবির আয়োজিত কবি মতিউর রহমান মল্লিক মেরিট অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

 

 

জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সাধারণত দেখি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করে থাকে। ছাত্রশিবির বিগত সময়েও এ ধরনের আয়োজন করেছে, মাঝে অল্প করেছে। যারা অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছেন আমি আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনারা মেধা দিয়ে এখানে ভর্তি হয়েছেন। তারপর আবার বিশ্ববিদ্যালয়েও সুন্দর রেজাল্ট করেছেন। এ অর্জনের জন্য আপনাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে হল নেই। আপনাদের অনেক কষ্ট করতে হয়। তাছাড়া অনেক অবকাঠামোগত সুবিধাও নেই।’

 

তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষের ক্ষেত্রে অর্জনের ‘পরবর্তী ধাপ’ হয় হিংসা। শয়তান অহংকার করেছিল, সামুদ জাতি বিরাট অট্টালিকা তৈরি করেছিল, ফেরাউন-নমরুদ অনেক সম্পদের মালিক ছিল এবং তারা অহংকার করেছিল। অহংকার ও জুলুম একসময় পতনের দিকে নিয়ে যায়। তাই আমি চাই আপনারা অহংকার করবেন না, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করবেন। আল্লাহ আপনাদের আরও বাড়িয়ে দিবে।’

 

শিবির সভাপতি বলেন, ‘পশ্চিমারা মানবতার কথা বলে কিন্তু তারা ভোগবাদী। তারাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগিয়েছিল। হিরোশিমা-নাগাসাকিতে তারাই বোমা বর্ষণ করেছিল। আমাদের আজকের শিক্ষা ব্যবস্থা যেভাবে ঢেলে সাজানোর কথা ছিল সেভাবে সাজানো হয়নি। আর একটা বড় বিষয় দুর্নীতি। একটা জায়গায় দুর্নীতি নিয়ে কথা বলছিলাম– যদি বাংলাদেশের দুর্নীতিটা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে দেশ অনেকদূর এগিয়ে যাবে। এদেশে যারা শিক্ষিত তারা দুর্নীতি করে, কোন কৃষক, রিকশা চালক নয়।’

 

এ সময় জবি শিবির সভাপতি রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল আলিম আরিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, কৃষিবিদ গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. আলী আফজাল, কৃষিবিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. আলী আফজাল, ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংকের (ইউটিএল) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসেন, ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েক, নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আনজু মানে আরা, হল-১-এর প্রভোস্ট মো. আসাদুজ্জামান সাদি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের প্রফেসর ড. শাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউট মিলিয়ে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এছাড়া এরসঙ্গে উপহার হিসেবে মগ, কলমদানি, কোরআন সিরাত গ্রন্থ, উত্তরীয়, নোটপ্যাড ও কলম দেওয়া হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য খাবারেরও আয়োজন করা হয়।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সংবিধানে গণভোট নেই, কথায় কথায় রাস্তায় নামবেন না: আমীর খসরু

পৃথিবীতে অনেকে জ্ঞান অর্জন করলেও উপলব্ধি করতে পারে না: শিবির সভাপতি

আপডেট সময় ১২:৫৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘পৃথিবীতে অনেকে জ্ঞান অর্জন করে। কিন্তু উপলব্ধি করতে পারে না। আপনারা বেশি বেশি পড়বেন, উপলব্ধি করবেন। জ্ঞানকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়– একটা দুনিয়াবি আর একটা পরকালীন। কিন্তু এটা ভাগ হওয়া উচিত উপকারী ও অপকারী হিসেবে।’

 

 

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে ছাত্রশিবির আয়োজিত কবি মতিউর রহমান মল্লিক মেরিট অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

 

 

জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সাধারণত দেখি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের আয়োজন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করে থাকে। ছাত্রশিবির বিগত সময়েও এ ধরনের আয়োজন করেছে, মাঝে অল্প করেছে। যারা অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছেন আমি আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আপনারা মেধা দিয়ে এখানে ভর্তি হয়েছেন। তারপর আবার বিশ্ববিদ্যালয়েও সুন্দর রেজাল্ট করেছেন। এ অর্জনের জন্য আপনাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে হল নেই। আপনাদের অনেক কষ্ট করতে হয়। তাছাড়া অনেক অবকাঠামোগত সুবিধাও নেই।’

 

তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষের ক্ষেত্রে অর্জনের ‘পরবর্তী ধাপ’ হয় হিংসা। শয়তান অহংকার করেছিল, সামুদ জাতি বিরাট অট্টালিকা তৈরি করেছিল, ফেরাউন-নমরুদ অনেক সম্পদের মালিক ছিল এবং তারা অহংকার করেছিল। অহংকার ও জুলুম একসময় পতনের দিকে নিয়ে যায়। তাই আমি চাই আপনারা অহংকার করবেন না, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করবেন। আল্লাহ আপনাদের আরও বাড়িয়ে দিবে।’

 

শিবির সভাপতি বলেন, ‘পশ্চিমারা মানবতার কথা বলে কিন্তু তারা ভোগবাদী। তারাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগিয়েছিল। হিরোশিমা-নাগাসাকিতে তারাই বোমা বর্ষণ করেছিল। আমাদের আজকের শিক্ষা ব্যবস্থা যেভাবে ঢেলে সাজানোর কথা ছিল সেভাবে সাজানো হয়নি। আর একটা বড় বিষয় দুর্নীতি। একটা জায়গায় দুর্নীতি নিয়ে কথা বলছিলাম– যদি বাংলাদেশের দুর্নীতিটা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে দেশ অনেকদূর এগিয়ে যাবে। এদেশে যারা শিক্ষিত তারা দুর্নীতি করে, কোন কৃষক, রিকশা চালক নয়।’

 

এ সময় জবি শিবির সভাপতি রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল আলিম আরিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, কৃষিবিদ গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. আলী আফজাল, কৃষিবিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. আলী আফজাল, ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংকের (ইউটিএল) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসেন, ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েক, নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আনজু মানে আরা, হল-১-এর প্রভোস্ট মো. আসাদুজ্জামান সাদি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি বিভাগের প্রফেসর ড. শাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউট মিলিয়ে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এছাড়া এরসঙ্গে উপহার হিসেবে মগ, কলমদানি, কোরআন সিরাত গ্রন্থ, উত্তরীয়, নোটপ্যাড ও কলম দেওয়া হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য খাবারেরও আয়োজন করা হয়।