ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে আমেরিকা হরমুজ প্রণালী বন্ধ করল ইরান, তেলের বাজারে উত্তেজনা জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচন নয়”—তারেক-ইউনূস বৈঠক নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর অজ্ঞাত স্থানে নেতানিয়াহু, নিহত ইরানের শীর্ষ জেনারেলরা ইরানে ইসরায়েলের হামলাকে ‘আইন লঙ্ঘন’ বললো জর্ডান, তীব্র প্রতিক্রিয়ায় মুসলিম বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক মহল ভাড়া গাড়ীতে প্রেসের স্টিকার,  সেনাবাহিনীর হাতে ধরা, করা হলো জরিমানা তারেক রহমান বললেন, খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূস জাতিকে দিকনির্দেশনা দেবেন বিএনপির সহযোগিতা এখন অভিশাপ: গলাচিপায় অবরুদ্ধের পর ক্ষোভে ফুঁসলেন ভিপি নুর” ইরানে ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ জেনারেল ও বিজ্ঞানীদের নিহতের ঘটনায় জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও শোক প্রকাশ “বাংলার আকাশে মেঘ জমলে জিয়া পরিবার বৃষ্টি হয়ে আসে”—ছাত্রদল সম্পাদক নাছির উদ্দীনের মন্তব্য

আমরা ফজরের নামাজের পর হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, কিন্তু তার আগেই ভারত…

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১২:৫০:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
  • ১৭১৯ বার পড়া হয়েছে

এবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, ভারত ৯ মে রাতেই ব্রহ্মোস মিসাইল ছুড়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। এতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত ছিল। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ফজরের নামাজের পর পাল্টা আঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর এনডিটিভির।

আজারবাইজানে এক বক্তব্যে শেহবাজ বলেন, আমরা ৯ মে রাতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, ভারতের আগ্রাসনের জবাব দিতেই হবে। আমাদের সেনাবাহিনী ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে প্রস্তুত ছিল। কিন্তু তার আগেই ভারত ব্রহ্মোস মিসাইল ছুড়ে এবং বিভিন্ন প্রদেশসহ রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দরেও আঘাত হানে। এই হামলার নাম ছিল অপারেশন সিঁদুর। ২২ এপ্রিলের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ২৬ জন নিহতের প্রতিশোধে এ হামলা চালানো হয়। ভারত দাবি করেছে, এতে জইশ-ই-মোহাম্মদ, লস্কর-ই-তইবা ও হিজবুল মুজাহিদিনের অন্তত ১০০ জঙ্গি নিহত হয়।

ভারত নয়টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এরমধ্যে চারটি পাকিস্তানে (ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, সারজাল, মেহমুনা জোয়া) ও পাঁচটি পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে (সাওয়াই নালা, সৈয়দনা বিলাল, গুলপুর, বারনালা, আব্বাস)। পাল্টা হিসেবে পাকিস্তান ভারতের বেসামরিক এলাকায় ড্রোন হামলা চালায়। জবাবে ভারত পাকিস্তানের ভেতরে রাডার, গোলাবারুদ ঘাঁটি ও কমান্ড সেন্টারে টার্গেটেড হামলা চালায় (রাফিকি, চাকলালা, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর, শিয়ালকোট ইত্যাদি)।

১০ মে উভয় দেশ স্থল, আকাশ ও সমুদ্রে সব ধরনের হামলা বন্ধে একমত হয়। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান তা ভঙ্গ করে। পরে ভারত জানায়, যুদ্ধবিরতি থাকবে ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’। সম্প্রতি পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীর, পানি ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী আমরা। তবে ভারতের সাফ জবাব, সন্ত্রাস বন্ধ না হলে কোনো আলোচনা নয়।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রন্ধীর জয়সওয়াল বলেন, যতক্ষণ না পাকিস্তান সন্ত্রাসে পৃষ্ঠপোষকতা পুরোপুরি বন্ধ করছে, ততদিন কোনো আলোচনা হবে না। পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ফিরিয়ে না দিলে কাশ্মীর ইস্যুতেও কথা হবে না। তিনি আরও জানান, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের পথ ছেড়ে না আসা পর্যন্ত সিন্দু পানি চুক্তিও স্থগিত থাকবে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে আমেরিকা

আমরা ফজরের নামাজের পর হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, কিন্তু তার আগেই ভারত…

আপডেট সময় ১২:৫০:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

এবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, ভারত ৯ মে রাতেই ব্রহ্মোস মিসাইল ছুড়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। এতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত ছিল। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ফজরের নামাজের পর পাল্টা আঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। খবর এনডিটিভির।

আজারবাইজানে এক বক্তব্যে শেহবাজ বলেন, আমরা ৯ মে রাতে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, ভারতের আগ্রাসনের জবাব দিতেই হবে। আমাদের সেনাবাহিনী ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে প্রস্তুত ছিল। কিন্তু তার আগেই ভারত ব্রহ্মোস মিসাইল ছুড়ে এবং বিভিন্ন প্রদেশসহ রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দরেও আঘাত হানে। এই হামলার নাম ছিল অপারেশন সিঁদুর। ২২ এপ্রিলের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার ২৬ জন নিহতের প্রতিশোধে এ হামলা চালানো হয়। ভারত দাবি করেছে, এতে জইশ-ই-মোহাম্মদ, লস্কর-ই-তইবা ও হিজবুল মুজাহিদিনের অন্তত ১০০ জঙ্গি নিহত হয়।

ভারত নয়টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এরমধ্যে চারটি পাকিস্তানে (ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, সারজাল, মেহমুনা জোয়া) ও পাঁচটি পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে (সাওয়াই নালা, সৈয়দনা বিলাল, গুলপুর, বারনালা, আব্বাস)। পাল্টা হিসেবে পাকিস্তান ভারতের বেসামরিক এলাকায় ড্রোন হামলা চালায়। জবাবে ভারত পাকিস্তানের ভেতরে রাডার, গোলাবারুদ ঘাঁটি ও কমান্ড সেন্টারে টার্গেটেড হামলা চালায় (রাফিকি, চাকলালা, রহিম ইয়ার খান, সুক্কুর, শিয়ালকোট ইত্যাদি)।

১০ মে উভয় দেশ স্থল, আকাশ ও সমুদ্রে সব ধরনের হামলা বন্ধে একমত হয়। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান তা ভঙ্গ করে। পরে ভারত জানায়, যুদ্ধবিরতি থাকবে ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’। সম্প্রতি পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীর, পানি ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী আমরা। তবে ভারতের সাফ জবাব, সন্ত্রাস বন্ধ না হলে কোনো আলোচনা নয়।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রন্ধীর জয়সওয়াল বলেন, যতক্ষণ না পাকিস্তান সন্ত্রাসে পৃষ্ঠপোষকতা পুরোপুরি বন্ধ করছে, ততদিন কোনো আলোচনা হবে না। পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ফিরিয়ে না দিলে কাশ্মীর ইস্যুতেও কথা হবে না। তিনি আরও জানান, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের পথ ছেড়ে না আসা পর্যন্ত সিন্দু পানি চুক্তিও স্থগিত থাকবে।