জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশন শেষে ঢাকার উদ্দেশে নিউইয়র্ক ত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১০ মিনিটে তিনি নিউইয়র্ক ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মো. আরিফুল ইসলাম জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে ড. ইউনূসকে বিদায় জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় তার সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা।
সফরে প্রধান উপদেষ্টা নিউইয়র্কে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন বিশেষ দূত এবং ভারতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোর-এর সঙ্গে বৈঠক করেন।
তিনি বন্দুকধারীর হামলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের মৃত্যুতে তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গভীর সমবেদনা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত সোশ্যাল বিজনেস, ইয়ুথ অ্যান্ড টেকনোলজি শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের এক সাইড ইভেন্টে বক্তব্য রাখেন। তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেন।
এছাড়া তার সঙ্গে বিশ্বের ১১টি দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধানরা সাক্ষাৎ করেছেন।
সফরে বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও সংস্কার কর্মসূচির প্রতি পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মীদের আরো ঘন ঘন বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানিয়েছেন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি’ বিষয়ক উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা।
জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সাধারণ পরিষদ হলে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ৭টি প্রস্তাব পেশ করেছে বাংলাদেশ। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় এ সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে অন্তত ৭৫টি দেশ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানও ছিলেন।

ডেস্ক রিপোর্ট 




















