ঢাকা , বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
লকডাউন নিয়ে বিভক্ত আ.লীগ, হামলার ছক কষছে এক পক্ষ রাজশাহীতে টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে দগ্ধ ছাত্রদল নেতা শহীদুল স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ঢাকায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন, ‘লকডাউন’ ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি দিল্লিতে শেখ হাসিনার গোপন বৈঠক: দেশ destabilize করার পরিকল্পনা ফাঁস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ স্থাপনায় তালা ঝুলিয়ে ‘লকডাউন সফল’ আহ্বান ছাত্রলীগের 🇸🇦 ২০২৬ সালের হজচুক্তি স্বাক্ষরিত: বাংলাদেশ থেকে ৭৮ হাজার ৫০০ জন হজ পালন করবেন ১৩ নভেম্বর কী হবে ঢাকায়, চিন্তায় কলকাতার আ.লীগ নেতারাও লকডাউন’ রুখে দেয়ার ঘোষণা পুলিশের, কী করবে আওয়া’মী লী’গ? গণভোট না হলে ২০২৯ সালের নির্বাচন ফ্যাসিস্ট হাসিনার কথার মতো’ গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগ

৬০৮ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং: সিআইডির মামলায় ৬ জন নামীয় আসামি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৭:১০:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
  • ১১৪ বার পড়া হয়েছে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা হুন্ডি কার্যক্রম পরিচালনা ও স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে প্রায় ৬০৮ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে সিআইডি এজাহারনামীয় ৬ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

 

 

বুধবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন খান গণমাধ্যমকে বিষয়টি অবগত করেন।

 

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- মনীন্দ্র নাথ বিশ্বাস (৫০), ওয়াহিদুজ্জামান (৫২), মো. গোলাম সারওয়ার আজাদ (৫১), মো. তরিকুল ইসলাম ওরফে রিপন ফকির (৪৯), রাজীব সরদার (৩৭) এবং উজ্জ্বল কুমার সাধু (৩৮)।

 

 

বাংলাদেশের নাগরিক কর্তৃক একজন মার্কিন নাগরিক প্রতারিত হলে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে সহযোগিতামূলক যোগাযোগের সূত্র ধরে সিআইডি অনুসন্ধান কাজ শুরু করে।

 

সিআইডির অনুসন্ধানে উঠে আসে মার্কিন নাগরিক ডেবোরাহ জন্সটন রামলো ‘ডেবি’-এর সঙ্গে এ প্রতারকচক্র বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করে সখ্য গড়ে তোলে। অভিযোগের ভাষ্যমতে এ প্রতারকচক্র তাদেরকে ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির পরিচয় দিয়ে ২ লাখ ২২ হাজার মার্কিন ডলার আত্মসাৎ করে।

 

 

অনুসন্ধানে উঠে আসে, এ অর্থ প্রতারকচক্র ছল-চাতুররি ও ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে আমেরিকার ভুক্তভোগী নাগরিককে বাধ্য করে যেন তিনি আমেরিকায় অবস্থিত বিভিন্ন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছ এ আত্মসাৎকৃত অর্থ পাঠায়।

 

অপরদিকে বাংলাদেশ থেকে এসব শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে অভিযুক্তরা তাদের বিভিন্ন নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা গ্রহণ করে। অভিযুক্তরা সংঘবদ্ধ প্রতারণা ছাড়াও এভাবে দীর্ঘদিন ধরে হুন্ডি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

 

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে অভিযুক্তরা মোট প্রায় ৬০৮ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার ৩৭২ টাকা হস্তান্তর ও রূপান্তর করে ভোগ-বিলাস, অর্থ পাচারসহ নামে-বেনামে সম্পত্তির মালিক হয়েছে। যা স্পষ্টতই মানিলন্ডারিং অপরাধ সংঘটনের আওতাভুক্ত। ফলশ্রুতিতে এ সংক্রান্তে ডিএমপি কোতোয়ালি থানার মামলা করা হয়েছে। মামলার পূর্ণ রহস্য এবং অজ্ঞাতনামা অন্যান্য আসামিদের নাম-ঠিকানা উদঘাটন ও শনাক্তপূর্বক সব আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

লকডাউন নিয়ে বিভক্ত আ.লীগ, হামলার ছক কষছে এক পক্ষ

৬০৮ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং: সিআইডির মামলায় ৬ জন নামীয় আসামি

আপডেট সময় ০৭:১০:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা হুন্ডি কার্যক্রম পরিচালনা ও স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে প্রায় ৬০৮ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে সিআইডি এজাহারনামীয় ৬ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

 

 

বুধবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন খান গণমাধ্যমকে বিষয়টি অবগত করেন।

 

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- মনীন্দ্র নাথ বিশ্বাস (৫০), ওয়াহিদুজ্জামান (৫২), মো. গোলাম সারওয়ার আজাদ (৫১), মো. তরিকুল ইসলাম ওরফে রিপন ফকির (৪৯), রাজীব সরদার (৩৭) এবং উজ্জ্বল কুমার সাধু (৩৮)।

 

 

বাংলাদেশের নাগরিক কর্তৃক একজন মার্কিন নাগরিক প্রতারিত হলে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে সহযোগিতামূলক যোগাযোগের সূত্র ধরে সিআইডি অনুসন্ধান কাজ শুরু করে।

 

সিআইডির অনুসন্ধানে উঠে আসে মার্কিন নাগরিক ডেবোরাহ জন্সটন রামলো ‘ডেবি’-এর সঙ্গে এ প্রতারকচক্র বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করে সখ্য গড়ে তোলে। অভিযোগের ভাষ্যমতে এ প্রতারকচক্র তাদেরকে ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির পরিচয় দিয়ে ২ লাখ ২২ হাজার মার্কিন ডলার আত্মসাৎ করে।

 

 

অনুসন্ধানে উঠে আসে, এ অর্থ প্রতারকচক্র ছল-চাতুররি ও ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে আমেরিকার ভুক্তভোগী নাগরিককে বাধ্য করে যেন তিনি আমেরিকায় অবস্থিত বিভিন্ন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছ এ আত্মসাৎকৃত অর্থ পাঠায়।

 

অপরদিকে বাংলাদেশ থেকে এসব শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে অভিযুক্তরা তাদের বিভিন্ন নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা গ্রহণ করে। অভিযুক্তরা সংঘবদ্ধ প্রতারণা ছাড়াও এভাবে দীর্ঘদিন ধরে হুন্ডি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

 

প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে অভিযুক্তরা মোট প্রায় ৬০৮ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার ৩৭২ টাকা হস্তান্তর ও রূপান্তর করে ভোগ-বিলাস, অর্থ পাচারসহ নামে-বেনামে সম্পত্তির মালিক হয়েছে। যা স্পষ্টতই মানিলন্ডারিং অপরাধ সংঘটনের আওতাভুক্ত। ফলশ্রুতিতে এ সংক্রান্তে ডিএমপি কোতোয়ালি থানার মামলা করা হয়েছে। মামলার পূর্ণ রহস্য এবং অজ্ঞাতনামা অন্যান্য আসামিদের নাম-ঠিকানা উদঘাটন ও শনাক্তপূর্বক সব আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।