ঢাকা , সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ডিবি অফিসে যাওয়া ব্যক্তির বট আইডিগুলো আগে বন্ধ করা দরকার খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ নরেন্দ্র মোদির নগরকান্দায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ সিআইডি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা, পাবেন বিশেষ নিরাপত্তা নীলফামারীতে বিএনপি নেতা রাসুল (সা.)-এর হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ভোট প্রার্থনা: “হকদারের হক আগে পূরণ করতে হবে” জামালপুর মাদারগঞ্জে জামায়াত নেতার বাড়িতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার অনমনীয় অবস্থান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে: এটিএম আজহার ডিসেম্বরে তফসিল, ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন : নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিক নোমানকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জামায়াতের জেলা আমির ‘হঠাৎ স্লোগান দিতে দিতে পিলখানায় ঢোকে ২৫ জন’

সাংবাদিক নোমানকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জামায়াতের জেলা আমির

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৭:৩৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ১১৭০ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট–মাধবপুর) আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও জেলা আমির মাওলানা মুখলিছুর রহমান। তিনি এই আসনে সাংবাদিক ওয়ালী উল্লাহ নোমানকে সমর্থন দিয়েছেন। সোমবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মুখলিছুর রহমান পোস্টে বলেন, “আমি প্রাথমিকভাবে জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক মনোনয়নপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে স্থানীয় নেতাকর্মীদের অক্লান্ত সহযোগিতায় প্রতিটি ইউনিয়নে গণসংযোগ করেছি। মাঠের মানুষ, সাধারণ ভোটার ও সংগঠনের কর্মীদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা ও উৎসাহ পেয়েছি, তা জীবনের একটি বড় প্রাপ্তি।”

তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক বাস্তবতা ও সংগঠনের কৌশলগত বিচক্ষণতার কারণে কেন্দ্রীয় সংগঠন এই আসনে সাংবাদিক ওয়ালী উল্লাহ নোমানকে এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি বলেন, “সংগঠনের সিদ্ধান্ত, দেশের স্বার্থ ও ইসলামী রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি আনুগত্য থেকে আমি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই এবং মেনে নিচ্ছি।”

মুখলিছুর রহমান বলেন, ব্যক্তিগত পদ-পদবি বা মনোনয়ন নয়, “আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ন্যায়নীতি, সুশাসন ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা। তাই আমি এবং আমার সহকর্মীরা পূর্বের মতোই পূর্ণ শক্তি নিয়ে মাঠে কাজ চালিয়ে যাব।”

উল্লেখ্য, ওয়ালী উল্লাহ নোমান ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন বিচারপতি ও একজন আইন বিশেষজ্ঞের মধ্যকার স্কাইপ ফোন কথোপকথনের বিরবণ প্রকাশ করে আলোচিত হন। সেই ঘটনা ‘স্কাইপ কেলেঙ্কারি’ হিসেবে সমালোচিত হয়। নিপীড়নের আশঙ্কায় তিনি দেশ ছাড়েন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে ফিরে গেলেও গত জানুয়ারিতে আবার বিদেশে চলে যান।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিবি অফিসে যাওয়া ব্যক্তির বট আইডিগুলো আগে বন্ধ করা দরকার

সাংবাদিক নোমানকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জামায়াতের জেলা আমির

আপডেট সময় ০৭:৩৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট–মাধবপুর) আসনে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও জেলা আমির মাওলানা মুখলিছুর রহমান। তিনি এই আসনে সাংবাদিক ওয়ালী উল্লাহ নোমানকে সমর্থন দিয়েছেন। সোমবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মুখলিছুর রহমান পোস্টে বলেন, “আমি প্রাথমিকভাবে জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক মনোনয়নপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে স্থানীয় নেতাকর্মীদের অক্লান্ত সহযোগিতায় প্রতিটি ইউনিয়নে গণসংযোগ করেছি। মাঠের মানুষ, সাধারণ ভোটার ও সংগঠনের কর্মীদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা ও উৎসাহ পেয়েছি, তা জীবনের একটি বড় প্রাপ্তি।”

তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক বাস্তবতা ও সংগঠনের কৌশলগত বিচক্ষণতার কারণে কেন্দ্রীয় সংগঠন এই আসনে সাংবাদিক ওয়ালী উল্লাহ নোমানকে এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি বলেন, “সংগঠনের সিদ্ধান্ত, দেশের স্বার্থ ও ইসলামী রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি আনুগত্য থেকে আমি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই এবং মেনে নিচ্ছি।”

মুখলিছুর রহমান বলেন, ব্যক্তিগত পদ-পদবি বা মনোনয়ন নয়, “আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ন্যায়নীতি, সুশাসন ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা। তাই আমি এবং আমার সহকর্মীরা পূর্বের মতোই পূর্ণ শক্তি নিয়ে মাঠে কাজ চালিয়ে যাব।”

উল্লেখ্য, ওয়ালী উল্লাহ নোমান ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন বিচারপতি ও একজন আইন বিশেষজ্ঞের মধ্যকার স্কাইপ ফোন কথোপকথনের বিরবণ প্রকাশ করে আলোচিত হন। সেই ঘটনা ‘স্কাইপ কেলেঙ্কারি’ হিসেবে সমালোচিত হয়। নিপীড়নের আশঙ্কায় তিনি দেশ ছাড়েন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে ফিরে গেলেও গত জানুয়ারিতে আবার বিদেশে চলে যান।