দীর্ঘ দেড় দশক সবচেয়ে কঠিন সময় পার করার পর ২৪ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে তুলনামূলক স্বস্তির রাজনীতি করছে জামায়াত। ইতিমধ্যে দলটি দেশের অন্যতম রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নতুনভাবে আবির্ভূত হয়েছে। একদিকে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজপথে সরব, অন্যদিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সব আসনে প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা। এরমধ্যেই গুঞ্জন উঠেছে—নতুন নেতৃত্বে আসতে পারে পরিবর্তন।
জামায়াতের সর্বোচ্চ পদ হলো ‘আমির’। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সারা দেশের রুকন সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হন একজন আমির। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার পরামর্শক্রমে তিনি নায়েবে আমির, সেক্রেটারি জেনারেল ও অন্যান্য নির্বাহী পদে দায়িত্ব দিয়ে থাকেন। বর্তমানে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন ডা. শফিকুর রহমান, যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ডিসেম্বরে।
দলটির নিয়ম অনুযায়ী বিদায়ী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্যরা তিনজনের একটি প্যানেল নির্বাচন করেন। সেখান থেকে রুকন সদস্যরা ভোট দিয়ে নতুন আমির ঠিক করেন। তবে চাইলে ভোটাররা প্যানেলের বাইরের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। সূত্র মতে, ইতিমধ্যেই দুটি সম্ভাব্য প্যানেল নিয়ে আলোচনা চলছে। একটিতে রয়েছেন বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এ টি এম আজহারুল ইসলাম। অন্য প্যানেলে আজহারুল ইসলামের জায়গায় আছেন নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানিয়েছেন, ২৫ ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন শেষ করা হবে। নতুন আমিরের কাঁধেই জাতীয় নির্বাচনের বড় চ্যালেঞ্জ থাকবে।
ডা. শফিকুর রহমান ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো আমির নির্বাচিত হন এবং ২০২২ সালের নভেম্বরে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন। গঠনতন্ত্রে নির্দিষ্ট করে দেয়া নেই একজন ব্যক্তি কতবার আমির হতে পারবেন। তাই দলীয় নেতৃত্বে পরিবর্তন আসবে কি না—তা নির্ভর করছে আসন্ন নির্বাচনে রুকন সদস্যদের রায়ের ওপর।

ডেস্ক রিপোর্ট 






















