ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
চকরিয়াতে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়িবহর আটকে রেখেছে বিএনপির লোকজন: হান্নান মাসুদ সালাউদ্দিনকে ‘গডফাদার’ ডাকায় উত্তাল কক্সবাজার, এনসিপির সমাবেশে ভাঙচুর চাঁদা নেব না, নিতেও দেব না: জামায়াত আমির বক্তব্যের মাঝে মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির মজলুমরা আজ জালিম হয়ে উঠছে: নুর জামায়াতের সমাবেশে দাওয়াত পায়নি বিএনপি বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদীদের জায়গা হবে না: জামায়াতের সমাবেশে সারজিস উগান্ডায় বোম পড়লেও কি বিএনপির দোষ?: পার্থ বর্তমানে আওয়ামী লীগ বলে কিছু নেই, এটি একটি মাফিয়া চক্রে পরিণত: সোহেল তাজ ভারতের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেওয়ায় আমার ছেলে শহীদ হয়: আবরার ফাহাদের বাবা

রংপুরে জামায়াতের জনসভায় এটিএম আজহারুল ইসলাম: “ফাঁসির মঞ্চ থেকে জনতার মঞ্চে, সবই আল্লাহর মেহেরবানি”

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৭:৩৯:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫
  • ১৯২ বার পড়া হয়েছে

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, “আমি কোনো অপরাধ করিনি, কিন্তু আমাকে জোর করে অপরাধী বানানো হয়েছিল।” শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় জনসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমি কারাগারে ফাঁসির জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু আল্লাহ আমাকে ফাঁসির মঞ্চ থেকে জনতার মঞ্চে নিয়ে এসেছেন। যাদের মাধ্যমে আমাকে ফাঁসি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, তারাই বলেছেন, জোর-জুলুম করে তাদের দিয়ে সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল।”

আজহারুল ইসলাম বলেন, “আমার মুক্তির প্রথম সোপান ছিল আবু সাঈদের রক্ত, যার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল এবং যার পরিণতি ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে গিয়ে শেষ হয়। ওই দিন না হলে হয়তো আমার জানাজা পড়া হতো। আমি তার হত্যাকারীদের বিচার দাবি করছি।”

তিনি অভিযোগ করেন, জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ‘মিথ্যা মামলায়’ হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, “মাওলানা নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ, কামরুজ্জামান, কাদের মোল্লা, মীর কাশেমকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কারাগারে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে অধ্যাপক গোলাম আযম, আবুল কালাম ইউসুফ, আব্দুস সোবহান এবং দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর।”

আজহার বলেন, “যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করে, তারা কি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারে? আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, এরকম কোনো দৃষ্টান্ত দুনিয়ায় নেই। অথচ বাংলাদেশে তা হয়েছে—এটা আজব এক বাংলাদেশ।”

তিনি দাবি করেন, “আমার মুক্তির মাধ্যমে শুধু আমি নয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর আরোপিত ‘মিথ্যা অপবাদ’ থেকেও দলটি মুক্তি পেয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের রায় প্রমাণ করেছে, আমাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা আইনটি অবৈধ ছিল।”

দীর্ঘ ১৭ বছর পর রংপুরে আয়োজিত এই জনসভা বিকেল ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জুমার নামাজের পর থেকেই শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। রংপুর মহানগরী ও জেলা জামায়াত আয়োজিত এই জনসভায় দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। জনসমাগম রংপুর জিলা স্কুল মাঠ ছাড়িয়ে আশপাশের সড়কে উপচে পড়ে। জনসভা থেকে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনের জন্য জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামও প্রকাশ করা হয়।

 

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চকরিয়াতে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়িবহর আটকে রেখেছে বিএনপির লোকজন: হান্নান মাসুদ

রংপুরে জামায়াতের জনসভায় এটিএম আজহারুল ইসলাম: “ফাঁসির মঞ্চ থেকে জনতার মঞ্চে, সবই আল্লাহর মেহেরবানি”

আপডেট সময় ০৭:৩৯:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, “আমি কোনো অপরাধ করিনি, কিন্তু আমাকে জোর করে অপরাধী বানানো হয়েছিল।” শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেলে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে বিভাগীয় জনসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমি কারাগারে ফাঁসির জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু আল্লাহ আমাকে ফাঁসির মঞ্চ থেকে জনতার মঞ্চে নিয়ে এসেছেন। যাদের মাধ্যমে আমাকে ফাঁসি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, তারাই বলেছেন, জোর-জুলুম করে তাদের দিয়ে সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল।”

আজহারুল ইসলাম বলেন, “আমার মুক্তির প্রথম সোপান ছিল আবু সাঈদের রক্ত, যার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়েছিল এবং যার পরিণতি ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে গিয়ে শেষ হয়। ওই দিন না হলে হয়তো আমার জানাজা পড়া হতো। আমি তার হত্যাকারীদের বিচার দাবি করছি।”

তিনি অভিযোগ করেন, জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ‘মিথ্যা মামলায়’ হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, “মাওলানা নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ, কামরুজ্জামান, কাদের মোল্লা, মীর কাশেমকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কারাগারে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে অধ্যাপক গোলাম আযম, আবুল কালাম ইউসুফ, আব্দুস সোবহান এবং দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর।”

আজহার বলেন, “যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করে, তারা কি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারে? আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, এরকম কোনো দৃষ্টান্ত দুনিয়ায় নেই। অথচ বাংলাদেশে তা হয়েছে—এটা আজব এক বাংলাদেশ।”

তিনি দাবি করেন, “আমার মুক্তির মাধ্যমে শুধু আমি নয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর আরোপিত ‘মিথ্যা অপবাদ’ থেকেও দলটি মুক্তি পেয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের রায় প্রমাণ করেছে, আমাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা আইনটি অবৈধ ছিল।”

দীর্ঘ ১৭ বছর পর রংপুরে আয়োজিত এই জনসভা বিকেল ৩টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও জুমার নামাজের পর থেকেই শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। রংপুর মহানগরী ও জেলা জামায়াত আয়োজিত এই জনসভায় দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। জনসমাগম রংপুর জিলা স্কুল মাঠ ছাড়িয়ে আশপাশের সড়কে উপচে পড়ে। জনসভা থেকে রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনের জন্য জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামও প্রকাশ করা হয়।