ঢাকা , শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সংবিধানে গণভোট নেই, কথায় কথায় রাস্তায় নামবেন না: আমীর খসরু হাসিনাকে প্রমোট করতে ভারত সর্বশক্তি ব্যবহার করছে: দাবি রনির মঞ্জু ভাই টাচ করে কথা বলা পছন্দ করতেন, শোল্ডার- হাতে ধরতো: বিস্ফোরক মন্তব্য সাবেক অধিনায়কের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের নাম সরিয়ে নিলো যুক্তরাষ্ট্র উন্মুক্ত মাঠে এবছরের সব তাফসির মাহফিল স্থগিত ঘোষণা করলেন মিজানুর রহমান আজহারী আরিফিন শুভর রাজউকের ১০ কাঠার প্লট ফিরিয়ে দিতে বললেন পরিচালক শেখ হাসিনা ও আ. লীগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে: প্রেসসচিব দুর্নীতি-দুঃশাসন মুক্তিতে কারও সাথে আপস করবে না জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান জবিতে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে জমকালো কাওয়ালি সন্ধ্যা দলগুলো না পারলে গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: প্রেস সচিব

কুড়িগ্রাম-৪: দুই ভাই দুই দল, ‘ধানের শীষ’ বনাম ‘দাঁড়িপাল্লা’–চূড়ান্ত রাজনৈতিক লড়াই পরিবারে বিভাজন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১১:৪০:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৮৩ বার পড়া হয়েছে

 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে বিরল এক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। একই পরিবারের দুই ভাই এবার ভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী লড়াই করছেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি থেকে আলহাজ আজিজুর রহমান আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন পেয়েছেন এবং ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে ভোটে অংশ নিচ্ছেন। অন্যদিকে, তার ভাই মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে দুই ভাইয়ের লড়াই নিয়ে তীব্র আলোচনা দেখা গেছে। বিশেষত বিএনপি-জামায়াতের ঐতিহ্যগত ভোটভিত্তি থাকা এই আসনে পরিবারের দুই পক্ষের বিভাজন নির্বাচনের সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করছে।

বিএনপির প্রার্থী আজিজুর রহমান বলেন, “আমি ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছি, তখন আমার ভাই আমার কর্মী ছিলেন, এখন তিনি জামায়াতের প্রার্থী। তবে আমার বংশের সব চাচাতো ভাই এবং দলীয় সহকর্মীরা আমার পক্ষে আছেন। যেহেতু আমার চেয়ারম্যান নির্বাচনের অভিজ্ঞতা আছে, তাই জামায়াত আমার ভাইকে প্রার্থী বানিয়ে কোনো সুবিধা পাবে না। আমি জিতব।”

অপরদিকে জামায়াত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, “আমার ভাই বিএনপির প্রার্থী, তবে ভোটে এতে কোনো প্রভাব পড়বে না। আমার কয়েকজন চাচাতো ভাই নীরব থাকলেও, কোনো পক্ষের সঙ্গে গেলে তারা আমার পাশে থাকবে। আমি আগেই নির্বাচনের জন্য মাঠ প্রস্তুত করেছি এবং জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।”

স্থানীয়রা বলছেন, একই পরিবারের দুই প্রার্থীর লড়াই ভোটারের মনোভাব ও বিএনপি-জামায়াত ভোটে বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে, যা আসনের রাজনৈতিক মানচিত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।


 

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সংবিধানে গণভোট নেই, কথায় কথায় রাস্তায় নামবেন না: আমীর খসরু

কুড়িগ্রাম-৪: দুই ভাই দুই দল, ‘ধানের শীষ’ বনাম ‘দাঁড়িপাল্লা’–চূড়ান্ত রাজনৈতিক লড়াই পরিবারে বিভাজন

আপডেট সময় ১১:৪০:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনে বিরল এক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। একই পরিবারের দুই ভাই এবার ভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী লড়াই করছেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি থেকে আলহাজ আজিজুর রহমান আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন পেয়েছেন এবং ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে ভোটে অংশ নিচ্ছেন। অন্যদিকে, তার ভাই মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে দুই ভাইয়ের লড়াই নিয়ে তীব্র আলোচনা দেখা গেছে। বিশেষত বিএনপি-জামায়াতের ঐতিহ্যগত ভোটভিত্তি থাকা এই আসনে পরিবারের দুই পক্ষের বিভাজন নির্বাচনের সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করছে।

বিএনপির প্রার্থী আজিজুর রহমান বলেন, “আমি ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছি, তখন আমার ভাই আমার কর্মী ছিলেন, এখন তিনি জামায়াতের প্রার্থী। তবে আমার বংশের সব চাচাতো ভাই এবং দলীয় সহকর্মীরা আমার পক্ষে আছেন। যেহেতু আমার চেয়ারম্যান নির্বাচনের অভিজ্ঞতা আছে, তাই জামায়াত আমার ভাইকে প্রার্থী বানিয়ে কোনো সুবিধা পাবে না। আমি জিতব।”

অপরদিকে জামায়াত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, “আমার ভাই বিএনপির প্রার্থী, তবে ভোটে এতে কোনো প্রভাব পড়বে না। আমার কয়েকজন চাচাতো ভাই নীরব থাকলেও, কোনো পক্ষের সঙ্গে গেলে তারা আমার পাশে থাকবে। আমি আগেই নির্বাচনের জন্য মাঠ প্রস্তুত করেছি এবং জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।”

স্থানীয়রা বলছেন, একই পরিবারের দুই প্রার্থীর লড়াই ভোটারের মনোভাব ও বিএনপি-জামায়াত ভোটে বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে, যা আসনের রাজনৈতিক মানচিত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।