ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচন নয়”—তারেক-ইউনূস বৈঠক নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর অজ্ঞাত স্থানে নেতানিয়াহু, নিহত ইরানের শীর্ষ জেনারেলরা ইরানে ইসরায়েলের হামলাকে ‘আইন লঙ্ঘন’ বললো জর্ডান, তীব্র প্রতিক্রিয়ায় মুসলিম বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক মহল ভাড়া গাড়ীতে প্রেসের স্টিকার,  সেনাবাহিনীর হাতে ধরা, করা হলো জরিমানা তারেক রহমান বললেন, খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূস জাতিকে দিকনির্দেশনা দেবেন বিএনপির সহযোগিতা এখন অভিশাপ: গলাচিপায় অবরুদ্ধের পর ক্ষোভে ফুঁসলেন ভিপি নুর” ইরানে ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ জেনারেল ও বিজ্ঞানীদের নিহতের ঘটনায় জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও শোক প্রকাশ “বাংলার আকাশে মেঘ জমলে জিয়া পরিবার বৃষ্টি হয়ে আসে”—ছাত্রদল সম্পাদক নাছির উদ্দীনের মন্তব্য “কেয়ামত পর্যন্তও গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ নয়” — জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান আহমেদাবাদের যানজটই বাঁচাল জীবন—ভূমি চৌহান

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন এপ্রিলের প্রথমার্ধে—প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিতর্ক

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১০:৫৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫
  • ৩১৪ বার পড়া হয়েছে

আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই ঘোষণা ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক ও মতবিভাজন। তার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে একদিকে যেমন কিছু রাজনৈতিক দলের সন্তুষ্টি দেখা গেছে, তেমনি অন্যদিকে অনেকে একে সময়ক্ষেপণের কৌশল হিসেবে দেখছেন।

প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংস্কার ও স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার জন্য সময় দেওয়া যুক্তিসংগত। তবে বিএনপি ও তাদের নেতৃত্বাধীন জোটসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল এপ্রিলকে নির্বাচনের জন্য অনুপযুক্ত সময় আখ্যায়িত করে ডিসেম্বরেই ভোট আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছে। তারা মনে করছে, দীর্ঘ সময় নিয়ে নির্বাচন পেছানো হলে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বেড়ে যেতে পারে।

রবিবার (গতকাল) রাতে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে তিনটি মূল লক্ষ্য: সংস্কার, বিচার (ট্রায়াল) ও নির্বাচন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, “সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাত সংস্কারে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ১২ থেকে ১৫টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। এসব কমিশনের প্রতিবেদন আসতে শুরু করেছে এবং তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ চলছে।”

প্রেস সচিব আরও বলেন, “বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিগত সময়ে সংঘটিত সহিংসতা, দুর্নীতি এবং নির্বাচনী অনিয়মের দায় নিরূপণ করা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতের নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য ও সুশাসনভিত্তিক হয়।”

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার পর থেকেই রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক, সংবাদ সম্মেলন এবং প্রতিক্রিয়ায় সরব হয়ে উঠেছে দেশের রাজনীতি। বিএনপি জানিয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচন নয়”—তারেক-ইউনূস বৈঠক নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন এপ্রিলের প্রথমার্ধে—প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র বিতর্ক

আপডেট সময় ১০:৫৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫

আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই ঘোষণা ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক ও মতবিভাজন। তার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে একদিকে যেমন কিছু রাজনৈতিক দলের সন্তুষ্টি দেখা গেছে, তেমনি অন্যদিকে অনেকে একে সময়ক্ষেপণের কৌশল হিসেবে দেখছেন।

প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংস্কার ও স্বচ্ছ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার জন্য সময় দেওয়া যুক্তিসংগত। তবে বিএনপি ও তাদের নেতৃত্বাধীন জোটসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দল এপ্রিলকে নির্বাচনের জন্য অনুপযুক্ত সময় আখ্যায়িত করে ডিসেম্বরেই ভোট আয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছে। তারা মনে করছে, দীর্ঘ সময় নিয়ে নির্বাচন পেছানো হলে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বেড়ে যেতে পারে।

রবিবার (গতকাল) রাতে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে তিনটি মূল লক্ষ্য: সংস্কার, বিচার (ট্রায়াল) ও নির্বাচন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, “সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাত সংস্কারে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ১২ থেকে ১৫টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। এসব কমিশনের প্রতিবেদন আসতে শুরু করেছে এবং তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ চলছে।”

প্রেস সচিব আরও বলেন, “বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিগত সময়ে সংঘটিত সহিংসতা, দুর্নীতি এবং নির্বাচনী অনিয়মের দায় নিরূপণ করা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতের নির্বাচন আরও গ্রহণযোগ্য ও সুশাসনভিত্তিক হয়।”

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণার পর থেকেই রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক, সংবাদ সম্মেলন এবং প্রতিক্রিয়ায় সরব হয়ে উঠেছে দেশের রাজনীতি। বিএনপি জানিয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে।