ঢাকা , শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
প্রশাসনে বড় রদবদল: ৫ সচিবসহ ৬ শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর ইসরায়েলি হাসপাতালে ইরানের ক্লাস্টার বোমা! নেতানিয়াহুর হুংকার, ‘চড়া মূল্য দিতে হবে’ ইসরায়েলে ইরানের ভয়াবহ হামলা, তেল আবিব ও হাইফায় ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন বৃষ্টি চেক ডিজঅনার মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান-এমডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইরানের হামলায় আতঙ্ক, দেশ ছাড়তে সিনাইয়ে ইসরায়েলিদের ভিড় ছয় দিনের যুদ্ধ বনাম সাত দিনের প্রতিরোধ: ‘এইবার নয়’—ইতিহাসকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে ইরান? ‘কেউই রেহাই পাবে না’: খামেনিকে লক্ষ্য করে হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর ‘ইরান এখনো তার সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বেরই করেনি’: তাসনিম নিউজ তারেক রহমান মানুষের স্বপ্ন পূরণের ব্যক্তিত্বে রূপান্তরিত হয়েছেন: দুদু ইসরাইলি আগ্রাসন রুখে দিতে মুসলিম বিশ্বের প্রতি ছারছীনা পীরের আহ্বান

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে প্রায় ১০০ খু’ন করে ওসি প্রদীপ: ডা. শাহাদাত হোসেন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১১:২৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫
  • ৭৯৮ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা ও সাবেক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন সম্প্রতি ডিবিসি নিউজের একটি টকশোতে অংশ নিয়ে নিজের কারাবাস, তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং জেলে থাকা অবস্থায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশের সঙ্গে তার অভিজ্ঞতা নিয়ে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।

ডা. শাহাদাত জানান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের তৎকালীন উপকমিশনার ডিসি মেহেদী তার ব্যক্তিগত হাসপাতালে ঢুকে রোগী দেখা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করেন। তিনি বলেন,

“তখন বিকাল পাঁচটা। আমি চেম্বারে রোগী দেখছিলাম। হঠাৎ ডিসি মেহেদীর নেতৃত্বে পুরো হাসপাতাল ঘিরে ফেলে পুলিশ। সেখান থেকেই আমাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস জেল হেফাজতে ছিলাম। ঈদুল ফিতরও সেবার জেলেই কাটাতে হয়।”

তিনি আরও বলেন, “জেলে আমাকে রাজনীতিক নয়, একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে ডিভিশন দেওয়া হয়। আমি ছিলাম একটি তিন কক্ষবিশিষ্ট কক্ষে। অন্য দুটি কক্ষে ছিলেন কেডিএস গ্রুপের মালিক খলিল সাহেবের ছেলে ইয়াসিন এবং বহুল আলোচিত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।”

শাহাদাত জানান, জেলে ওসি প্রদীপ ছিলেন নিঃসঙ্গ। তিনি বলেন,

“প্রদীপের সাথে কেউ কথা বলতো না। একদিন সে নিজেই আমার কাছে এসে কাঁদতে কাঁদতে বললো, ‘শাহাদাত ভাই, আমার সাথে কেউ কথা বলে না। একটু কথা বলেন।’”

তিনি তখন জানতে চান, কেন এমন অবস্থা? উত্তরে ইয়াসিন বলে ওঠে,

“ভাই, তার সঙ্গে কথা বলবেন না। সে খুনি। সে ১০০টার উপরে খুন করেছে।”
এ কথা শুনে ডা. শাহাদাত জানতে চান,
“তুমি কয়টা খুন করেছো?”
প্রদীপের জবাব ছিল,
“১০০টার মতো হবে।”

প্রদীপ আরও দাবি করেন,

“এই খুনগুলো আমি নিজের ইচ্ছায় করিনি। আমাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নির্দেশনা দিতেন—কোন খুন কিভাবে করব।”

ডা. শাহাদাত বলেন,

“এটা আমার ১৬ বছরের রাজনৈতিক জীবনের খুব সামান্য অংশ মাত্র। যা আমি আজ বললাম, তা হয়তো বহু মানুষের কাছে অজানা ছিল।”

তথ্যসূত্র: ডিবিসি নিউজ টকশো, সরাসরি বক্তব্য অনুযায়ী।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশাসনে বড় রদবদল: ৫ সচিবসহ ৬ শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে প্রায় ১০০ খু’ন করে ওসি প্রদীপ: ডা. শাহাদাত হোসেন

আপডেট সময় ১১:২৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫

বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা ও সাবেক মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন সম্প্রতি ডিবিসি নিউজের একটি টকশোতে অংশ নিয়ে নিজের কারাবাস, তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং জেলে থাকা অবস্থায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশের সঙ্গে তার অভিজ্ঞতা নিয়ে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।

ডা. শাহাদাত জানান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের তৎকালীন উপকমিশনার ডিসি মেহেদী তার ব্যক্তিগত হাসপাতালে ঢুকে রোগী দেখা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করেন। তিনি বলেন,

“তখন বিকাল পাঁচটা। আমি চেম্বারে রোগী দেখছিলাম। হঠাৎ ডিসি মেহেদীর নেতৃত্বে পুরো হাসপাতাল ঘিরে ফেলে পুলিশ। সেখান থেকেই আমাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর প্রায় চার থেকে পাঁচ মাস জেল হেফাজতে ছিলাম। ঈদুল ফিতরও সেবার জেলেই কাটাতে হয়।”

তিনি আরও বলেন, “জেলে আমাকে রাজনীতিক নয়, একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে ডিভিশন দেওয়া হয়। আমি ছিলাম একটি তিন কক্ষবিশিষ্ট কক্ষে। অন্য দুটি কক্ষে ছিলেন কেডিএস গ্রুপের মালিক খলিল সাহেবের ছেলে ইয়াসিন এবং বহুল আলোচিত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।”

শাহাদাত জানান, জেলে ওসি প্রদীপ ছিলেন নিঃসঙ্গ। তিনি বলেন,

“প্রদীপের সাথে কেউ কথা বলতো না। একদিন সে নিজেই আমার কাছে এসে কাঁদতে কাঁদতে বললো, ‘শাহাদাত ভাই, আমার সাথে কেউ কথা বলে না। একটু কথা বলেন।’”

তিনি তখন জানতে চান, কেন এমন অবস্থা? উত্তরে ইয়াসিন বলে ওঠে,

“ভাই, তার সঙ্গে কথা বলবেন না। সে খুনি। সে ১০০টার উপরে খুন করেছে।”
এ কথা শুনে ডা. শাহাদাত জানতে চান,
“তুমি কয়টা খুন করেছো?”
প্রদীপের জবাব ছিল,
“১০০টার মতো হবে।”

প্রদীপ আরও দাবি করেন,

“এই খুনগুলো আমি নিজের ইচ্ছায় করিনি। আমাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল নির্দেশনা দিতেন—কোন খুন কিভাবে করব।”

ডা. শাহাদাত বলেন,

“এটা আমার ১৬ বছরের রাজনৈতিক জীবনের খুব সামান্য অংশ মাত্র। যা আমি আজ বললাম, তা হয়তো বহু মানুষের কাছে অজানা ছিল।”

তথ্যসূত্র: ডিবিসি নিউজ টকশো, সরাসরি বক্তব্য অনুযায়ী।