ঢাকা , শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
বিচারকের বাসায় হা’ম’লা, ছু’রিকা’ঘাতে ছেলে নি’হত: হা’মলা’কারী বিএনপি নেতার ছেলে ধানের শীষের প্রার্থীকে রেখে নেতাকর্মীরাই খেয়ে ফেললেন সব খাবার পুণেতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ নিহত, ১৫ আহত; আগুনে পুড়ে গেছে ট্রাক রাজশাহীতে ধানের শীষ সমর্থক নারী নেতা ও তার বোনকে হামলার অভিযোগ, বিএনপির সংবাদ সম্মেলন আসন সমঝোতায় অচলাবস্থা: জমিয়তের ১২ আসন দাবি, বিএনপি রাজি মাত্র ৫টিতে দেবীদ্বার আসনে লড়বেন এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বাংলাদেশ-পাকিস্তানের আত্মিক বন্ধন অটুট: ফজলুর রহমান তোমাদের আপা আর আসবে না, আ.লীগকে লায়ন ফারুক জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিএনপিতে যোগদান: বিএনপির মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ জানালো জামায়াত এনসিপি এলে ৪০, না এলে ২৩ আসনে সমঝোতা করবে বিএনপি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ: ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শেখ হাসিনার সরাসরি হত্যার নির্দেশ ছিল’

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৯:২৭:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
  • ৩৩৭ বার পড়া হয়েছে

 

জাতীয় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া সাক্ষ্যে জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তাদের হত্যার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আসে। তিনি বলেছেন, “ডিবি কর্মকর্তারা আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য আমাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছিলেন এবং জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে আমাদের ধরে আনা হয়েছে। আন্দোলন না থামালে আমাদের হত্যা করা হবে।”

ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারকমণ্ডলীর কাছে আজ বৃহস্পতিবার আসিফের আংশিক জবানবন্দি শেষ হয়। বাকি জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আগামী ১৬ অক্টোবর পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

জবানবন্দিতে তিনি ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে কোটা পুনর্বহালের হাইকোর্টের রায়, পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেন। তিনি জানান, ১৯ জুলাই রাতে ঢাকার গুলশান নিকেতন এলাকা থেকে তাকে সাদা পোশাকধারী ব্যক্তি তুলে নিয়ে গিয়ে কথা বলার জন্য চাপ দেওয়া হয় এবং ভিডিও বার্তা দিতে বলা হয়। তবে আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য রাজি না হওয়ায় তাকে ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে ফেলা হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, ৫ আগস্ট চানখারপুলে তার সামনেই পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হন এবং পরে জানতে পারেন মোট ছয়জন আন্দোলনকারীকে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় চাইনিজ রাইফেল ও শটগান ব্যবহার করা হয়।

এই মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন – সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন এবং মো. নাসিরুল ইসলাম।


 

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বিচারকের বাসায় হা’ম’লা, ছু’রিকা’ঘাতে ছেলে নি’হত: হা’মলা’কারী বিএনপি নেতার ছেলে

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ: ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শেখ হাসিনার সরাসরি হত্যার নির্দেশ ছিল’

আপডেট সময় ০৯:২৭:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

 

জাতীয় যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া সাক্ষ্যে জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তাদের হত্যার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আসে। তিনি বলেছেন, “ডিবি কর্মকর্তারা আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য আমাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছিলেন এবং জানানো হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে আমাদের ধরে আনা হয়েছে। আন্দোলন না থামালে আমাদের হত্যা করা হবে।”

ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারকমণ্ডলীর কাছে আজ বৃহস্পতিবার আসিফের আংশিক জবানবন্দি শেষ হয়। বাকি জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আগামী ১৬ অক্টোবর পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

জবানবন্দিতে তিনি ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে কোটা পুনর্বহালের হাইকোর্টের রায়, পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন এবং ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেন। তিনি জানান, ১৯ জুলাই রাতে ঢাকার গুলশান নিকেতন এলাকা থেকে তাকে সাদা পোশাকধারী ব্যক্তি তুলে নিয়ে গিয়ে কথা বলার জন্য চাপ দেওয়া হয় এবং ভিডিও বার্তা দিতে বলা হয়। তবে আন্দোলন প্রত্যাহারের জন্য রাজি না হওয়ায় তাকে ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে ফেলা হয়।

তিনি অভিযোগ করেন, ৫ আগস্ট চানখারপুলে তার সামনেই পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হন এবং পরে জানতে পারেন মোট ছয়জন আন্দোলনকারীকে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় চাইনিজ রাইফেল ও শটগান ব্যবহার করা হয়।

এই মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন – সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল, শাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক মো. আরশাদ হোসেন, কনস্টেবল মো. সুজন হোসেন, ইমাজ হোসেন এবং মো. নাসিরুল ইসলাম।