ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
সিলেট জেলা হাসপাতালের অনিয়মে ছাড় নয়: জেলা প্রশাসক অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন, জরিমানা ১৮ হাজার টাকা নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ১৬ হাজার ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা আটক ভারত-নেপাল সীমান্ত বিরোধে উত্তপ্ত লিপুলেখ ইস্যু আবারো আলোচনায় ডাকসু বিজয়ীদের অভিনন্দন জানালেন এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম চাচা ও চাচাতো ভাইদের হামলায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যের দুই ছেলে প্রাণ হারালেন প্রভাবশালীর দখলে ধ্বংসের পথে গঙ্গামতির সংরক্ষিত বন নেপালের রাজধানীতে অরাজকতার মধ্যে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, সেনা মাঠে নামবে সাংবাদিক নির্যাতন মামলায় সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীন বরখাস্ত, জামিনে মুক্তি নরসিংদীতে পারিবারিক বিবাদের রক্তঝরা: চাচার হাতে দুই ভাই নিহত

ভারত-নেপাল সীমান্ত বিরোধে উত্তপ্ত লিপুলেখ ইস্যু আবারো আলোচনায়

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০১:৫৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

 

 

জেন-জিদের আন্দোলনের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়েছেন কেপি শর্মা অলি। জনরোষ থেকে বাঁচতে এখন দেশটির শিবপুরি সেনা ব্যারাকে অবস্থান করছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীত্ব হারানোর জন্য তিনি প্রতিবেশি ভারতকে দায়ী করেছেন। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

 

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) নিজ দলের মহাসচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ভারতকে দায়ী করে অলি লিখেছেন, ‘যদি আমি লিপুলেখ অঞ্চল নিয়ে প্রশ্ন না তুলতাম এবং অযোধ্যা ও দেবতা রাম নিয়ে কথা না বলতাম তাহলে আমি হয়ত ক্ষমতায় থাকতাম। আমি ক্ষমতা হারিয়েছি কারণ অযোধ্যতায় দেবতা রামের জন্ম হয়েছে–এই দাবির বিরোধীতা করেছিলাম।’

 

 

ভারত এবং নেপালের মধ্যে লিপুলেখ গিরিপথ নিয়ে দীর্ঘবিরোধ রয়েছে। এই বিতর্কের মূলে রয়েছে কালাপানি অঞ্চল। ১৮১৬ সালের সুগৌলি চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের মধ্যে এই অঞ্চলটির মাধ্যমে সীমান্ত নির্ধারিত হয়েছে। কালী নদীর উৎপত্তিস্থলকে নির্ধারণ করে সীমান্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

 

 

নেপালের দাবি হলো, কালী নদীর উৎপত্তি লিম্পিয়াধুড়া থেকে, যা লিপুলেখের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। তাদের দাবি এ অনুযায়ী, কালাপানি ও লিপুলেখ উভয়ই নেপালের ভূখণ্ড। অন্যদিকে, ভারতের দাবি নদীটি কালাপানি গ্রামের কাছে শুরু হয়েছে। ফলে এ অঞ্চলটিকে নিজেদের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের অংশ হিসেবে দাবি করে তারা।

 

নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির সরকার এ অঞ্চল নিয়ে কঠোর ছিল। অলি ঘোষণা দেন ‘মহাকালী নদীর পূর্ব দিকের লিম্পিয়াধুড়া, লিপুলেখ এবং কালাপানি নেপালের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’

 

এই ঘোষণার পর ভারতকে ওই অঞ্চলে রাস্তা নির্মাণ এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করতে অনুরোধ করেছিল নেপাল। এমনকি দেশটি চীনকে জানিয়েছিল এটি তাদের ভূখণ্ড। তবে ভারত নেপালের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল, ১৯৫৪ সাল থেকে তারা লিপুলেখ দিয়ে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য করছে।

 

অন্যদিকে ২০২০ সালের জুলাইয়ে কেপি শর্মা অলি বলেছিলেন, দেবতা রাম ভারতে নয় নেপালে জন্ম নিয়েছিলেন। তিনি মন্তব্য করেন, ‘রামের অযোধ্যা রাজ্য নেপালের পূর্ব বীরগঞ্জে অবস্থিত। ভারত আরেকটি ভুয়া অযোধ্যা তৈরি করেছে।’

 

‘রাম কীভাবে ভারতের উত্তর প্রদেশ থেকে নেপালের জনকপুরে সীতাকে বিয়ে করতে এসেছিলেন। প্রাচীন আমলে দূরের স্থানে বিয়ের প্রচলন ছিল না। ওই সময় কোনো ফোনও ছিল না। তাহলে তারা কীভাবে যোগাযোগ করেছিলেন। প্রাচীন আমলে আশপাশের রাজ্যগুলোর মধ্যে বিয়ে হতো। এত দূর গিয়ে কেউ বিয়ে করত না’- যোগ করেন অলি। এই বক্তব্যের পর ভারতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

সিলেট জেলা হাসপাতালের অনিয়মে ছাড় নয়: জেলা প্রশাসক

ভারত-নেপাল সীমান্ত বিরোধে উত্তপ্ত লিপুলেখ ইস্যু আবারো আলোচনায়

আপডেট সময় ০১:৫৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

 

জেন-জিদের আন্দোলনের মুখে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়েছেন কেপি শর্মা অলি। জনরোষ থেকে বাঁচতে এখন দেশটির শিবপুরি সেনা ব্যারাকে অবস্থান করছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীত্ব হারানোর জন্য তিনি প্রতিবেশি ভারতকে দায়ী করেছেন। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

 

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) নিজ দলের মহাসচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে ভারতকে দায়ী করে অলি লিখেছেন, ‘যদি আমি লিপুলেখ অঞ্চল নিয়ে প্রশ্ন না তুলতাম এবং অযোধ্যা ও দেবতা রাম নিয়ে কথা না বলতাম তাহলে আমি হয়ত ক্ষমতায় থাকতাম। আমি ক্ষমতা হারিয়েছি কারণ অযোধ্যতায় দেবতা রামের জন্ম হয়েছে–এই দাবির বিরোধীতা করেছিলাম।’

 

 

ভারত এবং নেপালের মধ্যে লিপুলেখ গিরিপথ নিয়ে দীর্ঘবিরোধ রয়েছে। এই বিতর্কের মূলে রয়েছে কালাপানি অঞ্চল। ১৮১৬ সালের সুগৌলি চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের মধ্যে এই অঞ্চলটির মাধ্যমে সীমান্ত নির্ধারিত হয়েছে। কালী নদীর উৎপত্তিস্থলকে নির্ধারণ করে সীমান্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

 

 

নেপালের দাবি হলো, কালী নদীর উৎপত্তি লিম্পিয়াধুড়া থেকে, যা লিপুলেখের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। তাদের দাবি এ অনুযায়ী, কালাপানি ও লিপুলেখ উভয়ই নেপালের ভূখণ্ড। অন্যদিকে, ভারতের দাবি নদীটি কালাপানি গ্রামের কাছে শুরু হয়েছে। ফলে এ অঞ্চলটিকে নিজেদের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের অংশ হিসেবে দাবি করে তারা।

 

নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির সরকার এ অঞ্চল নিয়ে কঠোর ছিল। অলি ঘোষণা দেন ‘মহাকালী নদীর পূর্ব দিকের লিম্পিয়াধুড়া, লিপুলেখ এবং কালাপানি নেপালের অবিচ্ছেদ্য অংশ।’

 

এই ঘোষণার পর ভারতকে ওই অঞ্চলে রাস্তা নির্মাণ এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করতে অনুরোধ করেছিল নেপাল। এমনকি দেশটি চীনকে জানিয়েছিল এটি তাদের ভূখণ্ড। তবে ভারত নেপালের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল, ১৯৫৪ সাল থেকে তারা লিপুলেখ দিয়ে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য করছে।

 

অন্যদিকে ২০২০ সালের জুলাইয়ে কেপি শর্মা অলি বলেছিলেন, দেবতা রাম ভারতে নয় নেপালে জন্ম নিয়েছিলেন। তিনি মন্তব্য করেন, ‘রামের অযোধ্যা রাজ্য নেপালের পূর্ব বীরগঞ্জে অবস্থিত। ভারত আরেকটি ভুয়া অযোধ্যা তৈরি করেছে।’

 

‘রাম কীভাবে ভারতের উত্তর প্রদেশ থেকে নেপালের জনকপুরে সীতাকে বিয়ে করতে এসেছিলেন। প্রাচীন আমলে দূরের স্থানে বিয়ের প্রচলন ছিল না। ওই সময় কোনো ফোনও ছিল না। তাহলে তারা কীভাবে যোগাযোগ করেছিলেন। প্রাচীন আমলে আশপাশের রাজ্যগুলোর মধ্যে বিয়ে হতো। এত দূর গিয়ে কেউ বিয়ে করত না’- যোগ করেন অলি। এই বক্তব্যের পর ভারতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।