ইসরায়েল আশা করছে, গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তি সোমবার (১৩ অক্টোবর) ভোর ৪টা থেকে ৬টার মধ্যে শুরু হবে। হামাসের হাতে থাকা ২০ জন জীবিত জিম্মিকে একসঙ্গে মুক্তি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে হামাস ঠিক কখন জিম্মিদের মুক্তি দেবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, তাদেরকে স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর ১২টার (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা) মধ্যে মুক্তি দিতে হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
মুক্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টা আগে ইসরায়েলকে জানাবে রেড ক্রস।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মুখপাত্র শোশ বেদরোসিয়ান বলেন, ‘জিম্মিদের যদি নির্ধারিত সময়ের আগেও মুক্তি দেওয়া হয়, তবুও ইসরায়েল তাদের গ্রহণের জন্য প্রস্তুত।’
তিনি আরও জানান, সব জিম্মি নিরাপদে ফিরে এসেছে নিশ্চিত হওয়ার পরেই ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেবে।
মুখপাত্র জানিয়েছেন, মৃত জিম্মিদের মরদেহ কফিনে করে ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে নেওয়া হবে শনাক্তকরণের জন্য।
চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েল ২৫০ ফিলিস্তিনি বন্দি ও গাজা থেকে আটক ১,৭০০ জনকে মুক্তি দেবে, যাদের মধ্যে প্রায় দুই ডজন শিশু রয়েছে।
এদিকে ডজনখানেক ত্রাণবাহী ট্রাককে মিসরের রাফা সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে, যেখানে সারিবদ্ধভাবে ট্রাকগুলো অপেক্ষা করছে।
যুদ্ধবিরতির পর হাজারো ফিলিস্তিনি উত্তর গাজার দিকে ফিরতে শুরু করেছেন। যদিও গাজা পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। তারপরও সেখানেই ফিরছে তারা।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর আমন্ত্রণে ট্রাম্প আগামী সপ্তাহের শুরুতে ইসরায়েল সফর করবেন। মিসরে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তিনি।
গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা সংঘাত সমাধানে ২০ দফা পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।

ডেস্ক রিপোর্ট 

























