ঢাকা , শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
প্রশাসনে বড় রদবদল: ৫ সচিবসহ ৬ শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর ইসরায়েলি হাসপাতালে ইরানের ক্লাস্টার বোমা! নেতানিয়াহুর হুংকার, ‘চড়া মূল্য দিতে হবে’ ইসরায়েলে ইরানের ভয়াবহ হামলা, তেল আবিব ও হাইফায় ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন বৃষ্টি চেক ডিজঅনার মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান-এমডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইরানের হামলায় আতঙ্ক, দেশ ছাড়তে সিনাইয়ে ইসরায়েলিদের ভিড় ছয় দিনের যুদ্ধ বনাম সাত দিনের প্রতিরোধ: ‘এইবার নয়’—ইতিহাসকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে ইরান? ‘কেউই রেহাই পাবে না’: খামেনিকে লক্ষ্য করে হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর ‘ইরান এখনো তার সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বেরই করেনি’: তাসনিম নিউজ তারেক রহমান মানুষের স্বপ্ন পূরণের ব্যক্তিত্বে রূপান্তরিত হয়েছেন: দুদু ইসরাইলি আগ্রাসন রুখে দিতে মুসলিম বিশ্বের প্রতি ছারছীনা পীরের আহ্বান

পুলিশ কিলার ফোর্স নয়, বড়জোর শটগান থাকতে পারে: আইজিপি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১২:৩৮:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • ৩৬৬ বার পড়া হয়েছে

এবার রাইফেলের মতো যেসব অস্ত্রের গুলিতে মানুষ মারা যেতে পারে সেগুলো ব্যবহারে পুলিশকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, পুলিশ কোনো কিলার ফোর্স হতে পারে না। পুলিশের কাছে বড়জোর শটগান থাকতে পারে। এসব নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। মঙ্গলবার (১৩ মে) আইজিপি কাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

গত ১২ মে পুলিশের হাতে ‘মারণাস্ত্র’ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন) কাছে। পুলিশ তাদের কাছে থাকা মারণাস্ত্র জমা দেবে।

পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র না রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘সরকার তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিষয়টা মিন করেছে সেটি হচ্ছে যে অস্ত্রের গুলির ফলে নিশ্চিত মৃত্যু যেমন- রাইফেল। রাইফেল থেকে বুলেট নির্গত হয়। এগুলো আমরা এভয়েড করব। আমরা আর্মামেন্টেরিয়াম(অস্ত্রাগার) নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘অন প্রিন্সিপাল আমরা মনে করি যে, পুলিশ ক্যান নট বি এ কিলার ফোর্স। আমার কাছে বড়জোর শটগান থাকবে। এটাই একটা স্বাভাবিক প্রত্যাশা। যেসব জায়গায় বা বিশেষ জায়গাগুলোতে বিদ্রোহ হয় বা বিদ্রোহী থাকে সেসব জায়গায় পুলিশের কার্যক্রমটা ভিন্ন হয়। তবে স্বাভাবিকভাবেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের কাছে যেন লিথাল ওয়েপন(প্রাণঘাতি মারণাস্ত্র) না থাকে। পুলিশের কাছে নন লিথাল ওয়েপন থাকাটা বিশ্বব্যাপী সমর্থন করে।’

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশাসনে বড় রদবদল: ৫ সচিবসহ ৬ শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

পুলিশ কিলার ফোর্স নয়, বড়জোর শটগান থাকতে পারে: আইজিপি

আপডেট সময় ১২:৩৮:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

এবার রাইফেলের মতো যেসব অস্ত্রের গুলিতে মানুষ মারা যেতে পারে সেগুলো ব্যবহারে পুলিশকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, পুলিশ কোনো কিলার ফোর্স হতে পারে না। পুলিশের কাছে বড়জোর শটগান থাকতে পারে। এসব নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। মঙ্গলবার (১৩ মে) আইজিপি কাপ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

গত ১২ মে পুলিশের হাতে ‘মারণাস্ত্র’ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মারণাস্ত্র থাকবে শুধু এপিবিএনের (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন) কাছে। পুলিশ তাদের কাছে থাকা মারণাস্ত্র জমা দেবে।

পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র না রাখার সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘সরকার তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিষয়টা মিন করেছে সেটি হচ্ছে যে অস্ত্রের গুলির ফলে নিশ্চিত মৃত্যু যেমন- রাইফেল। রাইফেল থেকে বুলেট নির্গত হয়। এগুলো আমরা এভয়েড করব। আমরা আর্মামেন্টেরিয়াম(অস্ত্রাগার) নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘অন প্রিন্সিপাল আমরা মনে করি যে, পুলিশ ক্যান নট বি এ কিলার ফোর্স। আমার কাছে বড়জোর শটগান থাকবে। এটাই একটা স্বাভাবিক প্রত্যাশা। যেসব জায়গায় বা বিশেষ জায়গাগুলোতে বিদ্রোহ হয় বা বিদ্রোহী থাকে সেসব জায়গায় পুলিশের কার্যক্রমটা ভিন্ন হয়। তবে স্বাভাবিকভাবেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের কাছে যেন লিথাল ওয়েপন(প্রাণঘাতি মারণাস্ত্র) না থাকে। পুলিশের কাছে নন লিথাল ওয়েপন থাকাটা বিশ্বব্যাপী সমর্থন করে।’