ঢাকা , শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
প্রশাসনে বড় রদবদল: ৫ সচিবসহ ৬ শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর ইসরায়েলি হাসপাতালে ইরানের ক্লাস্টার বোমা! নেতানিয়াহুর হুংকার, ‘চড়া মূল্য দিতে হবে’ ইসরায়েলে ইরানের ভয়াবহ হামলা, তেল আবিব ও হাইফায় ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন বৃষ্টি চেক ডিজঅনার মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান-এমডিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইরানের হামলায় আতঙ্ক, দেশ ছাড়তে সিনাইয়ে ইসরায়েলিদের ভিড় ছয় দিনের যুদ্ধ বনাম সাত দিনের প্রতিরোধ: ‘এইবার নয়’—ইতিহাসকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে ইরান? ‘কেউই রেহাই পাবে না’: খামেনিকে লক্ষ্য করে হামলার ইঙ্গিত নেতানিয়াহুর ‘ইরান এখনো তার সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বেরই করেনি’: তাসনিম নিউজ তারেক রহমান মানুষের স্বপ্ন পূরণের ব্যক্তিত্বে রূপান্তরিত হয়েছেন: দুদু ইসরাইলি আগ্রাসন রুখে দিতে মুসলিম বিশ্বের প্রতি ছারছীনা পীরের আহ্বান

১১ ভোটে হেরেছিলেন: সাড়ে তিন বছর পর আদালতের রায়ে ৪৬৬ ভোটে চেয়ারম্যান হলেন জামায়াত নেতা সাইয়েদ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৬:০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • ৮৪১ বার পড়া হয়েছে

প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হলেও ফলাফল বদলে পরাজিত ঘোষণা করা হয়েছিল জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও নোয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়েদ আহমদকে। অবশেষে আদালতের রায়ে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা পেলেন। বুধবার (১৪ মে) দুপুরে নোয়াখালী জেলা দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ দেওয়ান মনিরুজ্জামান তাকে ৪৬৬ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নে চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে কেন্দ্রের দেওয়া ফলাফলে জয়লাভ করেন মাওলানা সাইয়েদ আহমদ। তবে উপজেলা পর্যায়ে ফলাফলের কাগজপত্রে হেরফের করে প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সামছুল আলমকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর আদালতের রায়ে অবশেষে চেয়ারম্যান হলেন সাইয়েদ আহমদ।

তার আইনজীবী মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার সাড়ে তিন বছর আগে জনগণের রায় ছিনিয়ে নিয়েছিল। আজ আদালত সেই রায় ফিরিয়ে দিয়েছেন। কাশীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফলাফল টেম্পার করে আওয়ামী প্রার্থীকে জয়ী করা হয়, অথচ কেন্দ্রের ফলাফলে স্পষ্ট জয়ী ছিলেন সাইয়েদ আহমদ। উপজেলা পরিষদে ফলাফলের টেম্পারিং হয়েছে। সেখানে তাকে ১১ ভোটে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়েদ আহমদ বলেন, ‘সত্যের জয় হয়েছে। সত্য কখনো চাপা থাকে না—আজ তা প্রমাণিত হলো। এটি জনগণের বিজয়। আমার ইউনিয়নের বাসিন্দারা বঞ্চিত হয়েছেন, তাই আমি শুরুতেই নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেছিলাম। আজ আল্লাহর রহমতে জয় পেয়েছি। ইউনিয়নের জনগণের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’

তার ছেলে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম ফরহাদ বলেন, ‘নৌকার প্রার্থীর ভরাডুবি ঠেকাতে পেশিশক্তি ব্যবহার করে জনগণের রায় উপেক্ষা করে আমার বাবাকে ১১ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়েছিল। আজ আদালত সত্য প্রতিষ্ঠা করেছে। আশা করি দ্রুত গেজেট প্রকাশিত হবে। আমি সংশ্লিষ্ট আদালত, আইনজীবী ও ইউনিয়নবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। ধিক্কার জানাই তাদের, যারা কারচুপি করে জনগণের অধিকার হরণ করেছিল।’

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রশাসনে বড় রদবদল: ৫ সচিবসহ ৬ শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর

১১ ভোটে হেরেছিলেন: সাড়ে তিন বছর পর আদালতের রায়ে ৪৬৬ ভোটে চেয়ারম্যান হলেন জামায়াত নেতা সাইয়েদ

আপডেট সময় ০৬:০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হলেও ফলাফল বদলে পরাজিত ঘোষণা করা হয়েছিল জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও নোয়াখালী জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়েদ আহমদকে। অবশেষে আদালতের রায়ে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা পেলেন। বুধবার (১৪ মে) দুপুরে নোয়াখালী জেলা দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ দেওয়ান মনিরুজ্জামান তাকে ৪৬৬ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি সোনাইমুড়ী উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নে চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে কেন্দ্রের দেওয়া ফলাফলে জয়লাভ করেন মাওলানা সাইয়েদ আহমদ। তবে উপজেলা পর্যায়ে ফলাফলের কাগজপত্রে হেরফের করে প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সামছুল আলমকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর পর আদালতের রায়ে অবশেষে চেয়ারম্যান হলেন সাইয়েদ আহমদ।

তার আইনজীবী মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার সাড়ে তিন বছর আগে জনগণের রায় ছিনিয়ে নিয়েছিল। আজ আদালত সেই রায় ফিরিয়ে দিয়েছেন। কাশীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফলাফল টেম্পার করে আওয়ামী প্রার্থীকে জয়ী করা হয়, অথচ কেন্দ্রের ফলাফলে স্পষ্ট জয়ী ছিলেন সাইয়েদ আহমদ। উপজেলা পরিষদে ফলাফলের টেম্পারিং হয়েছে। সেখানে তাকে ১১ ভোটে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে অধ্যক্ষ মাওলানা সাইয়েদ আহমদ বলেন, ‘সত্যের জয় হয়েছে। সত্য কখনো চাপা থাকে না—আজ তা প্রমাণিত হলো। এটি জনগণের বিজয়। আমার ইউনিয়নের বাসিন্দারা বঞ্চিত হয়েছেন, তাই আমি শুরুতেই নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেছিলাম। আজ আল্লাহর রহমতে জয় পেয়েছি। ইউনিয়নের জনগণের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’

তার ছেলে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম ফরহাদ বলেন, ‘নৌকার প্রার্থীর ভরাডুবি ঠেকাতে পেশিশক্তি ব্যবহার করে জনগণের রায় উপেক্ষা করে আমার বাবাকে ১১ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়েছিল। আজ আদালত সত্য প্রতিষ্ঠা করেছে। আশা করি দ্রুত গেজেট প্রকাশিত হবে। আমি সংশ্লিষ্ট আদালত, আইনজীবী ও ইউনিয়নবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। ধিক্কার জানাই তাদের, যারা কারচুপি করে জনগণের অধিকার হরণ করেছিল।’