বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছ বলেছেন, যেখানেই আমরা গিয়েছি সেখানেই বাধা দেওয়া হয়েছে। আমরা যেন জনগণের পক্ষে রাষ্ট্রের পক্ষে কথা বলতে না পারি। কী ছিল তার উদ্দেশ্য? জনগণের কণ্ঠ চাপিয়ে রেখে, জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে জনগণকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। সব মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছিল। আওয়ামী লীগ জোর করে সেই অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। আল্লাহ সবকিছু সহ্য করলেও সীমা লঙ্ঘনকারীকে বরদাস্ত করেন না।
বুধবার বিকালে হবিগঞ্জ পৌরসভা মাঠে আয়োজিত বিশাল নারী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান কাজলের সভাপতিত্বে এবং সামছুল ইসলাম মতিন ও এসএম আওয়ালের সঞ্চালনায় এতে প্রধান বক্তা ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ। সমাবেশে হাজারও নারীর সমাগম ঘটে।
সমাবেশে জিকে গউছ বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের মাসের পর মাস, বছরের পর বছর কারাগারে রেখে নির্যাতন করেছে। আমাদের মিছিল মিটিং করতে দেয়নি। মা-বোনদের কাছে যেতে দেয়নি। আমরা কেউ আওয়ামী লীগের এসব নির্যাতনের কোনো প্রতিশোধ নেইনি। তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়িনি। আমরা চেয়েছি দেশের মানুষ যেন ঐক্যবদ্ধ থাকে। দেশকে যারা ভালোবাসে তারা দেশের ক্ষতি করতে পারে না।
তিনি বলেন, নারী সমাজকে দমিয়ে রাখতেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে ৬ বছর কারাগারে আটকে রেখেছিলেন শেখ হাসিনা। অথচ খালেদা জিয়ার হাত ধরেই মূলত নারী সমাজের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। একজন গৃহবধূ থেকে তিনি আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে দেশের অবিসংবাদিত নেত্রী হয়ে উঠেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি গত বছর ৫ আগস্টের পর জনরোষের ভয়ে জান বাঁচাতে আওয়ামী লীগের সব এমপি, মন্ত্রী, অত্যাচারী নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তখন সারা বাংলাদেশ উত্তপ্ত। আর সে সময়ই জাতির সামনে আবারও আল্লাহর রহমত হিসেবে আবির্ভূত হলেন অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়া। মাত্র ৩ মিনিটের অডিও বার্তায় জাতিকে শান্ত থাকার আহ্বান জানালেন। কেউ যেন বেপরোয়া না হয় সেই আহ্বান জানালেন। কেউ যেন কারও প্রতি অসহিষ্ণু আচরণ না করে। এ দেশ আমাদের সবার। এ দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার ইতিহাস বিএনপির নেই। যদি আমাদের এ দেশে থাকতে হয়, তবে সকলকে নিয়েই থাকতে হবে। খালেদা জিয়ার সেদিনের কথায় পুরো দেশ শান্ত হয়ে গেল।

ডেস্ক রিপোর্ট 



















