ঐতিহাসিক জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে। এতে অংশ নেয় ২৫টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধি। তবে অনুপস্থিত ছিল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ।
আগেই এনসিপির অংশগ্রহণ নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তারা অংশ নাও নিতে পারেন। পরবর্তীতে মধ্যরাতে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তারা অনুষ্ঠানে যোগ দেবে না। অন্যদিকে বাম জোট আগেই জানিয়েছিল, তারা জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছে না।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। ড. ইউনূস বলেন,
“জুলাই সনদ বিশ্বে এক অন্যন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।”
প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে দলগুলোর উদ্দেশে বলেন,
“জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আমরা যে ঐক্যের সুর বাজালাম, সেই সুর নিয়েই নির্বাচনে যাবো। যারা স্বাক্ষর করেছেন, প্রয়োজনে আবার বসে ঠিক করুন—কীভাবে নির্বাচন সুন্দর করা যায়। যেনতেন নির্বাচন করে কোনও লাভ নেই।”
সন্ধ্যায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন,
“সবাই জুলাই সনদ স্বাক্ষর করেছেন। যারা দুই-একজন স্বাক্ষর করেননি, আশা করি তারাও ভবিষ্যতে করবেন। এটা উন্মুক্ত রাখা আছে।”

ডেস্ক রিপোর্ট 





















