রমজানের প্রথম জুমায় মসজিদে মুসল্লিদের ঢল

প্রখর রোদ উপেক্ষা করেই রমজানের প্রথম জুমায় মসজিদে মসজিদে ঢল নেমেছিল মুসল্লিদের। রাজধানীর প্রায় সব মসজিদে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি মুসল্লিদের উপস্থিতি দেখা গেছে। কোথাও-কোথাও মসজিদের ভেতরে মুসল্লিদের সংকুলান না হওয়ায় বাইরে নামাজ পড়তে দেখা গেছে। রাস্তার পাশের মসজিদগুলোতে জায়গা না হওয়ায় মূল সড়কেও গেছে নামাজের কাতার, তীব্র রোদের মধ্যেই প্রার্থনা করেছেন মুসুল্লিরা। এদিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সকল মসজিদে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। সাদা-কালো, ধনী-গরিব, ছোট-বড় সকলের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছে মসজিগুলো।

প্রচণ্ড খরতাপ উপেক্ষা করে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের বিভিন্ন গেট দিয়ে মুসল্লিরা নামাজের জন্য প্রবেশ করেন। বেলা সোয়া ১২টার পর থেকেই মুসল্লিদের ঢল নামে মসজিদে। দুপুর পৌনে ১টা বাজতে না বাজতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয় মসজিদের ভেতর বাহির প্রাঙ্গণ। দূর-দূরান্ত থেকে নামাজ পড়তে মসজিদে ছুটে আসেন মুসল্লিরা। মসজিদের ভেতরে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিদের রাস্তায় নামাজের জন্য দাঁড়াতে দেখা যায়। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা উত্তর গেটের বাইরের সিঁড়ি ও রাস্তায় নামাজের জন্য বসেছেন।

নামাজের আগে মসজিদে মসজিদে দেওয়া হবে বিশেষ খুতবা। আজ বায়তুল মোকাররমে খুৎবা পেশ করবেন খতিব মুফতি রুহুল আমীন। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হবে। এদিকে মহাখালী মসজিদে গাউছুল আজম, হাইকোর্ট জামে মসজিদ, লালবাগ শাহী মসজিদ, চকবাজার শাহী মসজিদসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের ব্যাপক সমাগম হয়েছে প্রথম জুমায়।

মুসল্লিদের নিরাপত্তা রক্ষার্থে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়।

এদিকে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি আগে থেকে ঠিক করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। প্রথম রোজার ইফতার এবং দ্বিতীয় রোজার সাহরির সময়সূচি জেনে নেয়া যাক। শুক্রবার (২৪ মার্চ) ঢাকা জেলায় ইফতারের সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৪ মিনিট। আর শনিবার ভোর রাতে সাহরির শেষ সময় ভোর ৪টা ৩৮ মিনিট। ফজর নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে ৪টা ৪৪ মিনিটে। সেহরির শেষ সময় সতর্কতামূলকভাবে সুবহে সাদিকের ৩ মিনিট আগে ধরা হয়েছে এবং ফজরের ওয়াক্ত শুরুর সময় সুবহে সাদিকের ৩ মিনিট পরে রাখা হয়েছে