মায়ের হাত ফসকে শিশু নদীতে! ৩৬ ঘণ্টা পর মিলল মরদেহ

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় মায়ের সঙ্গে শিশু পার্কে বেড়াতে গিয়ে বেহাল বেইলী সেতু পার হওয়ার সময় মায়ের হাত ফসকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ শিশু সিনথিয়া (৪)। দীর্ঘ ৩৬ ঘণ্টা পর তার মরদেহ পাওয়া গিয়েছে। সিনথিয়া জেলার কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের জোলাগাতি গ্রামের কাউসার খান ও হাফসা দম্পতির একমাত্র মেয়ে ছিল।

আজ শুক্রবার সকালে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ব্যাপারী বাড়ির পাশে খালের চর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ভান্ডারিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার পারভেজ আহম্মেদ পলাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পারভেজ আহম্মেদ পলাশ জানান, স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে সকালে আমরা ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ব্যাপারী বাড়ির পাশে খালের চর থেকে সিনথিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতে শিশুটি সেতু থেকে পোনা নদীতে পড়ে যাওয়ার খবর পেয়েই উদ্ধার কাজ শুরু করেছিলাম।

ভান্ডারিয়া থানার ওসি মো. আসিকুজ্জামান জানান, ফায়ার সার্ভিস মরদেহ উদ্ধার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা শিশুটির পরিবারকে খবর পাঠানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গত বুধবার বিকেলে শিশু সিনথিয়া মায়ের সাথে ভান্ডারিয়া শহরে কেনাকাটা করতে যায়। কেনাকাটা শেষে শিশুটির মা শহর সংলগ্ন শিশু পার্কে বেড়াতে নিয়ে যায়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে পার্ক থেকে বের হয়ে পোনা নদীর ওপর বেহাল বেইলী সেতু পার হওয়ার সময় সেতুর গার্ডারের ভাঙা অংশে পা পড়ে শিশু সিনথিয়া মায়ের হাত থেকে ফসকে খরস্রোতা পোনা নদীতে পড়ে যায়। এরপর মায়ের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে থানা পুলিশকে দুর্ঘটনার বিষয়টি অবহিত করে।

তাৎক্ষণিক শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি শুরু করে। সেই সাথে কোস্টগার্ডের একটি ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। ৩৬ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযানের পর আজ শুক্রবার সকালে নদী চর হতে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।