ঢাকা , রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশ নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না: ছারছীনা পীর সাহেব হামলার প্রতিবাদে গভীর রাতে শহিদ মিনারে শিক্ষকদের মোমবাতি প্রজ্বলন ২০২৬ সালের রমজান ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের পাশে থাকার ঘোষণা হাসনাত আবদুল্লাহর মধ্যরাতে ঢাকা গাজীপুর খুলনা সহ একযোগে ১৫ জেলার ডিসি বদল জয়পুরহাটে জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির অর্ধশতাধিক কর্মী-সমর্থক চেতনানাশক খাইয়ে সিএনজি ছিনতাই চক্রের নয় সদস্য গ্রেপ্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে কেনো প্রতিবার অবহেলা— প্রশ্ন রুমিন ফারহানার খুলনায় দুই সাংবাদিকের উপর হামলা; স্থানীয় সাংবাদিক মহলের নিন্দা

দুই বছর পর ৩ লাখ শিশুর স্কুল শুরু

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১২:৪৯:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • ১১৫ বার পড়া হয়েছে

ইসরায়েলের আগ্রাসনে বিপর্যস্ত গাজায় স্কুলে যেতে শুরু করেছে সেখানকার তিন লাখ শিশু। গত দুই বছর নজিরবিহীন, নিরবচ্ছিন্ন হামলার মুখে শিশুদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ ছিল।

 

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, শনিবার থেকে গাজার তিন লাখ ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী আবারও ক্লাসে যাওয়া শুরু করেছে।

 

 

সোমবার তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সির বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর। সংস্থাটি আরও উল্লেখ করে, যুদ্ধবিরতি চালু হলেও এখনও ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় লাখো ডলার মূল্যের ত্রাণসামগ্রীর ওপর ধুলা জমছে।

ইউএনআরডব্লিউএর গণমাধ্যমবিষয়ক উপদেষ্টা আদনান আবু হাসনা বলেন, সংস্থাটি ‘তিন লাখ ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর পড়ালেখা শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে এবং এই সংখ্যাটি সম্ভবত আরও বাড়বে। স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ হাজার শিক্ষার্থী ক্লাস করবে আর বাকিদের ক্ষেত্রে দূরবীক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। দুই বছর ধরে ওরা স্কুলের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। এর আগেও করোনার কারণে দুই বছর স্কুল বন্ধ ছিল’, যোগ করেন তিনি। ওই প্রকল্পে আট হাজার শিক্ষক অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন আবু হাসনা।

 

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ওই হামলায় ইসরায়েলের এক হাজার ২০০ ব্যক্তি নিহত ও ২৫১ জন জিম্মি হন। সে দিনই গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু হয়। ওই হামলার জেরে ৮ অক্টোবর থেকে গাজার সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ আছে। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত স্কুল ও সরকারি স্কুলগুলোকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তর করা হয়।

যে কোনো সংঘাতে স্কুল ভবনকে ‘সুরক্ষা’ দেওয়ার নীতি থাকলেও ইসরায়েল এতে পাত্তা দেয়নি। বিমান হামলায় অসংখ্য স্কুল ভবন ধ্বংস হয়েছে। বাকিগুলোও বড় আকারে ক্ষতির শিকার হয়েছে।

 

 

ফিলিস্তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইসরায়েল ১৭২টি সরকারি স্কুল ধ্বংস করেছে। আরও ১১৮টি স্কুল বোমা হামলায় ক্ষতির শিকার হয়েছে। জাতিসংঘ পরিচালিত ১০০টিরও বেশি স্কুলে হামলা হয়েছে। ইসরায়েলের গণহত্যামূলক হামলায় এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৭১১ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে এবং আরও ২৫ হাজার ৮৯৭ জন আহত হয়েছে। পাশাপাশি, শিক্ষা খাতসংশ্লিষ্ট ৭৬৩ কর্মী নিহত ও তিন হাজার ১৮৯ জন আহত হয়েছেন।

 

গত সপ্তাহে ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া পরিকল্পনা মেনে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। এই চুক্তির প্রথম পর্যায়ে ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিরা মুক্তি পান। গাজার পুনর্গঠন ও হামাসবর্জিত প্রশাসন চালু করাও এই চুক্তির অন্যতম লক্ষ্য।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৬৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও পুরুষ। গাজার বেশির ভাগ অংশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

দুই বছর পর ৩ লাখ শিশুর স্কুল শুরু

আপডেট সময় ১২:৪৯:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

ইসরায়েলের আগ্রাসনে বিপর্যস্ত গাজায় স্কুলে যেতে শুরু করেছে সেখানকার তিন লাখ শিশু। গত দুই বছর নজিরবিহীন, নিরবচ্ছিন্ন হামলার মুখে শিশুদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ ছিল।

 

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, শনিবার থেকে গাজার তিন লাখ ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী আবারও ক্লাসে যাওয়া শুরু করেছে।

 

 

সোমবার তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সির বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর। সংস্থাটি আরও উল্লেখ করে, যুদ্ধবিরতি চালু হলেও এখনও ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় লাখো ডলার মূল্যের ত্রাণসামগ্রীর ওপর ধুলা জমছে।

ইউএনআরডব্লিউএর গণমাধ্যমবিষয়ক উপদেষ্টা আদনান আবু হাসনা বলেন, সংস্থাটি ‘তিন লাখ ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর পড়ালেখা শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে এবং এই সংখ্যাটি সম্ভবত আরও বাড়বে। স্কুল ও আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ হাজার শিক্ষার্থী ক্লাস করবে আর বাকিদের ক্ষেত্রে দূরবীক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। দুই বছর ধরে ওরা স্কুলের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। এর আগেও করোনার কারণে দুই বছর স্কুল বন্ধ ছিল’, যোগ করেন তিনি। ওই প্রকল্পে আট হাজার শিক্ষক অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন আবু হাসনা।

 

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ওই হামলায় ইসরায়েলের এক হাজার ২০০ ব্যক্তি নিহত ও ২৫১ জন জিম্মি হন। সে দিনই গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু হয়। ওই হামলার জেরে ৮ অক্টোবর থেকে গাজার সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ আছে। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত স্কুল ও সরকারি স্কুলগুলোকে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তর করা হয়।

যে কোনো সংঘাতে স্কুল ভবনকে ‘সুরক্ষা’ দেওয়ার নীতি থাকলেও ইসরায়েল এতে পাত্তা দেয়নি। বিমান হামলায় অসংখ্য স্কুল ভবন ধ্বংস হয়েছে। বাকিগুলোও বড় আকারে ক্ষতির শিকার হয়েছে।

 

 

ফিলিস্তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইসরায়েল ১৭২টি সরকারি স্কুল ধ্বংস করেছে। আরও ১১৮টি স্কুল বোমা হামলায় ক্ষতির শিকার হয়েছে। জাতিসংঘ পরিচালিত ১০০টিরও বেশি স্কুলে হামলা হয়েছে। ইসরায়েলের গণহত্যামূলক হামলায় এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৭১১ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে এবং আরও ২৫ হাজার ৮৯৭ জন আহত হয়েছে। পাশাপাশি, শিক্ষা খাতসংশ্লিষ্ট ৭৬৩ কর্মী নিহত ও তিন হাজার ১৮৯ জন আহত হয়েছেন।

 

গত সপ্তাহে ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া পরিকল্পনা মেনে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। এই চুক্তির প্রথম পর্যায়ে ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিরা মুক্তি পান। গাজার পুনর্গঠন ও হামাসবর্জিত প্রশাসন চালু করাও এই চুক্তির অন্যতম লক্ষ্য।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৬৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও পুরুষ। গাজার বেশির ভাগ অংশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।