ঢাকা , শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
চিঠি ও পার্সেল সরবরাহ বন্ধ: কানাডা পোস্টের ৫৫ হাজার কর্মীর কর্মবিরতি জাতীয় যুবশক্তি দাবি: অপহরণে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণাঃ ব্র্যান্ডেড ও পেটেন্টযুক্ত ওষুধে ১০০% শুল্ক জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের বার্তা: শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দেশ বাংলাদেশ জাতিসংঘে ড. মুহাম্মদ ইউনূস: নারীর ক্ষমতায়ন আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার জাতিসংঘে নেতানিয়াহু: সমালোচনা শুধু ভান, অনেক নেতা চুপচাপ ধন্যবাদ জানাচ্ছেন জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে মেহেরপুর জামায়াতের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল জাতিসংঘে ইউনূসের ক্লিয়ার বল — পাচার হওয়া অর্থ ফেরত দিন, বিশ্বের ব্যাংকরা অংশ নেবেন না তো? দুই সন্তান রেখে স্ত্রীর পরকীয়া, স্বামী শুরু করলেন নতুন জীবন হেলিকপ্টারে বিয়ে নিয়ে জাতিসংঘে শেহবাজ: ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তান নিয়েছে পাল্টা ব্যবস্থা

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণ চান মির্জা ফখরুল

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১২:৪২:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৪৫২০ বার পড়া হয়েছে

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, “একটা সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হোক—এটাই আমাদের লক্ষ্য।” এ জন্য অনেকেই তাকে “ভারতের এজেন্ট” বা “আওয়ামীর দালাল” বলে গালাগাল করছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সোমবার কলকাতার বাংলা দৈনিক ‘এই সময়’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফখরুল বলেন, ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন হবে এবং কোনো অশান্তি হবে না। মানুষ ভোটাধিকার ফিরিয়ে নিতে চান, নির্বাচন চাইছেন—তাদের মধ্যে উৎসবের আমেজ থাকবে।

জামায়াতের পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) দাবি প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রচলিত পদ্ধতিতেই ভোট হবে এবং জামায়াতও অংশ নেবে। তবে জামায়াতকে আর “মাথায় তোলা হবে না” বলে আশ্বাস দেন তিনি। এনসিপিকে আর কোনো শক্তি মনে করেন না বলেও মন্তব্য করেন।

নির্বাচন প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, তারা দুজনেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চান। সেনাবাহিনীও ভোট শেষে ব্যারাকে ফিরতে আগ্রহী।

ভারতের প্রভাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে ভারত বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী, তবে “বাংলাদেশকে শুধু আওয়ামী লীগ হিসেবে দেখা ভারতের ভুল”। বিএনপি অসাম্প্রদায়িক, মধ্যপন্থী গণতান্ত্রিক দল—জামায়াত শুধু নির্বাচনি শরিক ছিল, নীতিগত নয়।

তিনি আরও বলেন, “হাসিনা ১৫ বছর প্রতিপক্ষকে ভোটে দাঁড়াতেই দেননি, তার শাস্তি পেয়েছেন। আমরাও যদি একই কাজ করি, প্রতিফল পেতে হবে। মানুষ এত রক্ত দেখেছে, প্রাণহানি হয়েছে—তাদের মধ্যে আওয়ামী-বিরোধিতা রয়েছে।”

ফখরুলের মতে, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বিরোধ-বিদ্বেষ কাটিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মানুষে মানুষে যোগাযোগ আবারও বাড়বে, ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হবে, সাংস্কৃতিক সম্পর্কও স্বাভাবিক হবে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চিঠি ও পার্সেল সরবরাহ বন্ধ: কানাডা পোস্টের ৫৫ হাজার কর্মীর কর্মবিরতি

আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণ চান মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ১২:৪২:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, “একটা সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হোক—এটাই আমাদের লক্ষ্য।” এ জন্য অনেকেই তাকে “ভারতের এজেন্ট” বা “আওয়ামীর দালাল” বলে গালাগাল করছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সোমবার কলকাতার বাংলা দৈনিক ‘এই সময়’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফখরুল বলেন, ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন হবে এবং কোনো অশান্তি হবে না। মানুষ ভোটাধিকার ফিরিয়ে নিতে চান, নির্বাচন চাইছেন—তাদের মধ্যে উৎসবের আমেজ থাকবে।

জামায়াতের পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) দাবি প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রচলিত পদ্ধতিতেই ভোট হবে এবং জামায়াতও অংশ নেবে। তবে জামায়াতকে আর “মাথায় তোলা হবে না” বলে আশ্বাস দেন তিনি। এনসিপিকে আর কোনো শক্তি মনে করেন না বলেও মন্তব্য করেন।

নির্বাচন প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, তারা দুজনেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চান। সেনাবাহিনীও ভোট শেষে ব্যারাকে ফিরতে আগ্রহী।

ভারতের প্রভাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে ভারত বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী, তবে “বাংলাদেশকে শুধু আওয়ামী লীগ হিসেবে দেখা ভারতের ভুল”। বিএনপি অসাম্প্রদায়িক, মধ্যপন্থী গণতান্ত্রিক দল—জামায়াত শুধু নির্বাচনি শরিক ছিল, নীতিগত নয়।

তিনি আরও বলেন, “হাসিনা ১৫ বছর প্রতিপক্ষকে ভোটে দাঁড়াতেই দেননি, তার শাস্তি পেয়েছেন। আমরাও যদি একই কাজ করি, প্রতিফল পেতে হবে। মানুষ এত রক্ত দেখেছে, প্রাণহানি হয়েছে—তাদের মধ্যে আওয়ামী-বিরোধিতা রয়েছে।”

ফখরুলের মতে, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বিরোধ-বিদ্বেষ কাটিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মানুষে মানুষে যোগাযোগ আবারও বাড়বে, ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হবে, সাংস্কৃতিক সম্পর্কও স্বাভাবিক হবে।