উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন বিধানে বলা হয়েছে, নির্বাচনী জোট থাকলেও জোটভুক্ত প্রতিটি প্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীকে ভোটে অংশ নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই খসড়া অনুমোদিত হয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সংশোধিত খসড়ার প্রধান দিকগুলো তুলে ধরেন।
সংশোধিত আরপিওতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিধান বিলুপ্ত করা হয়েছে এবং ‘না ভোট’ পুনর্বহাল করা হয়েছে। ফলে কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে ভোটাররা তাকে ভোট না দেওয়ার সুযোগ পাবেন; এমন পরিস্থিতিতে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, “২০১৪ সালের মতো সাজানো নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে ‘না ভোট’ বিধান ফের আনা হয়েছে।”
এছাড়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে এই তিন বাহিনীও পুলিশের মতো ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে পারবে এবং তাদের জন্য আলাদা কোনো আদেশের প্রয়োজন হবে না।
আরও বলা হয়েছে, পলাতক আসামিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। জেলা পর্যায়ে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
নতুন বিধান অনুযায়ী, প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে আয় ও সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য হলফনামায় দিতে হবে এবং তা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করা হবে।
আইন উপদেষ্টা জানান, “প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে জনগণ সহজেই জানতে পারেন তাদের প্রার্থীর আর্থিক অবস্থা ও স্বচ্ছতা সম্পর্কে।”
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

ডেস্ক রিপোর্ট 




















