ঢাকা , বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
লকডাউন নিয়ে বিভক্ত আ.লীগ, হামলার ছক কষছে এক পক্ষ রাজশাহীতে টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে দগ্ধ ছাত্রদল নেতা শহীদুল স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ঢাকায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন, ‘লকডাউন’ ঘিরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি দিল্লিতে শেখ হাসিনার গোপন বৈঠক: দেশ destabilize করার পরিকল্পনা ফাঁস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ স্থাপনায় তালা ঝুলিয়ে ‘লকডাউন সফল’ আহ্বান ছাত্রলীগের 🇸🇦 ২০২৬ সালের হজচুক্তি স্বাক্ষরিত: বাংলাদেশ থেকে ৭৮ হাজার ৫০০ জন হজ পালন করবেন ১৩ নভেম্বর কী হবে ঢাকায়, চিন্তায় কলকাতার আ.লীগ নেতারাও লকডাউন’ রুখে দেয়ার ঘোষণা পুলিশের, কী করবে আওয়া’মী লী’গ? গণভোট না হলে ২০২৯ সালের নির্বাচন ফ্যাসিস্ট হাসিনার কথার মতো’ গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগ

“শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি, যেতে বাধ্য হয়েছিলেন” — আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেনের মন্তব্য

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১০:০৬:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • ১২০ বার পড়া হয়েছে

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার সংবাদদাতাদের সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রনিযুক্ত (স্টেট ডিফেন্স) আইনজীবী মো. আমির হোসেন বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি; বরং পরিস্থিতির চাপে তাকে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল।

আমির হোসেন বলেন, “উনি বলেছিলেন—‘প্রয়োজনে আমাকে এখানে হত্যা করে মাটিতে দাও, তবুও আমি যাব না।’ কিন্তু তখন পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিল যে হেলিকপ্টারে তাকে নিতে বাধ্য করা হয়েছিল। দেশের মানুষ দেখেছে, কীভাবে তিনি গেছেন। পালিয়ে যাওয়া মানে চোরের মতো লুকিয়ে থাকা—সেই অর্থে আমি ‘পালিয়ে যাওয়া’ কথাটি মানতে পারি না।”

অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি আরও বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার (জেনোসাইড) সংজ্ঞা অনুযায়ী কোনো জাতি বা সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করার প্রমাণ এখানে নেই। “বাদীপক্ষ ন্যায়বিচার চান, আমরাও ন্যায়বিচার চাই; সেই নিশ্চয়তা দেওয়ার দায়িত্ব ট্রাইব্যুনালের,” যোগ করেন তিনি।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রমাণ উপস্থাপন প্রসঙ্গে আমির হোসেন মত দেন, “সন্দেহাতীতভাবে রাষ্ট্রপক্ষ শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মামলার প্রমাণে সফল হতে পারেনি। তাই আমি বিশ্বাস করি, তারা সম্মানের সঙ্গে খালাস পাবেন।”

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও স্মরণ করিয়ে দেন, অতীতে এক সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিদেশে অবস্থানকালে শেখ হাসিনাকে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হতে বলেছিলেন, কিন্তু পরে নিজে আর দেশে ফেরেননি।

মামলার তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় পর্যায়ে এখন নজর কেন্দ্রীভূত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

লকডাউন নিয়ে বিভক্ত আ.লীগ, হামলার ছক কষছে এক পক্ষ

“শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি, যেতে বাধ্য হয়েছিলেন” — আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেনের মন্তব্য

আপডেট সময় ১০:০৬:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার সংবাদদাতাদের সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রনিযুক্ত (স্টেট ডিফেন্স) আইনজীবী মো. আমির হোসেন বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাননি; বরং পরিস্থিতির চাপে তাকে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল।

আমির হোসেন বলেন, “উনি বলেছিলেন—‘প্রয়োজনে আমাকে এখানে হত্যা করে মাটিতে দাও, তবুও আমি যাব না।’ কিন্তু তখন পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিল যে হেলিকপ্টারে তাকে নিতে বাধ্য করা হয়েছিল। দেশের মানুষ দেখেছে, কীভাবে তিনি গেছেন। পালিয়ে যাওয়া মানে চোরের মতো লুকিয়ে থাকা—সেই অর্থে আমি ‘পালিয়ে যাওয়া’ কথাটি মানতে পারি না।”

অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি আরও বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার (জেনোসাইড) সংজ্ঞা অনুযায়ী কোনো জাতি বা সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করার প্রমাণ এখানে নেই। “বাদীপক্ষ ন্যায়বিচার চান, আমরাও ন্যায়বিচার চাই; সেই নিশ্চয়তা দেওয়ার দায়িত্ব ট্রাইব্যুনালের,” যোগ করেন তিনি।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রমাণ উপস্থাপন প্রসঙ্গে আমির হোসেন মত দেন, “সন্দেহাতীতভাবে রাষ্ট্রপক্ষ শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মামলার প্রমাণে সফল হতে পারেনি। তাই আমি বিশ্বাস করি, তারা সম্মানের সঙ্গে খালাস পাবেন।”

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও স্মরণ করিয়ে দেন, অতীতে এক সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিদেশে অবস্থানকালে শেখ হাসিনাকে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হতে বলেছিলেন, কিন্তু পরে নিজে আর দেশে ফেরেননি।

মামলার তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় পর্যায়ে এখন নজর কেন্দ্রীভূত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।