ঢাকা , শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে অবিচলভাবে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ: মুশফিকুল দুই কোটি টাকা দিয়ে নিবন্ধন পেয়েছে ডেসটিনির আম জনগণ পার্টি: অভিযোগ তারেকের সংবিধানে গণভোট নেই, কথায় কথায় রাস্তায় নামবেন না: আমীর খসরু হাসিনাকে প্রমোট করতে ভারত সর্বশক্তি ব্যবহার করছে: দাবি রনির মঞ্জু ভাই টাচ করে কথা বলা পছন্দ করতেন, শোল্ডার- হাতে ধরতো: বিস্ফোরক মন্তব্য সাবেক অধিনায়কের সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের নাম সরিয়ে নিলো যুক্তরাষ্ট্র উন্মুক্ত মাঠে এবছরের সব তাফসির মাহফিল স্থগিত ঘোষণা করলেন মিজানুর রহমান আজহারী আরিফিন শুভর রাজউকের ১০ কাঠার প্লট ফিরিয়ে দিতে বললেন পরিচালক শেখ হাসিনা ও আ. লীগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে: প্রেসসচিব দুর্নীতি-দুঃশাসন মুক্তিতে কারও সাথে আপস করবে না জামায়াত: ডা. শফিকুর রহমান

৯ মাসে সংবিধান সংস্কার: সংসদই কাজ করবে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ হিসেবে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১০:২১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • ২০৭ বার পড়া হয়েছে

 

আগামী সংসদকে ৯ মাস বা ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুযায়ী সংবিধান সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই সময় সংসদ একই সঙ্গে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ হিসেবে কাজ করবে। এ সংক্রান্ত শর্তগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে প্রস্তাবিত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ-২০২৫’–এ।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংস্কার বাস্তবায়ন কীভাবে সংসদের জন্য বাধ্যতামূলক করা যায়— সে বিষয়েও প্রস্তাবিত আদেশে বিশেষ ধারা যুক্ত করার প্রস্তাব উঠেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও বিশেষজ্ঞ প্যানেলের দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত ও আলোচনা হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, সাংবিধানিক সংস্কার অনুমোদনে সাধারণ নাকি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হবে— সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে কমিশন ও বিশেষজ্ঞরা একমত হয়েছেন, সংস্কার নিয়ে গণভোট হবে একটি মাত্র প্রশ্নে।

গণভোটে জনগণের মতামত নেওয়া হবে প্রশ্নে— ‘আপনি কি আদেশ ও সংস্কার সমর্থন করেন?’—এর উত্তরে ভোটাররা দেবেন শুধু ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’। জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর যেসব বিষয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ রয়েছে, তা গণভোটের প্রশ্নে অন্তর্ভুক্ত হবে না।

গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনে দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঐকমত্য কমিশন ও বিশেষজ্ঞ প্যানেলের বৈঠক চলে। এর আগে বুধবারও তিন ঘণ্টার বৈঠক হয়। দুই দিনে মোট ১০ ঘণ্টার আলোচনা হলেও ‘জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’–এর খসড়া এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। আদেশে কী কী থাকবে, তা বিস্তারিতভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে— তাই কিছুটা সময় লাগছে।”

আগামী শনিবার কমিশন ও বিশেষজ্ঞ প্যানেল আবার বৈঠকে বসবে। আশা করা হচ্ছে, সেদিনই খসড়া চূড়ান্ত করা যাবে। এর পর কমিশন জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি বিষয়ে সরকারকে এমন সুপারিশ দেবে, যা সরকারের জন্য সহজে কার্যকর করা সম্ভব হবে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে অবিচলভাবে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ: মুশফিকুল

৯ মাসে সংবিধান সংস্কার: সংসদই কাজ করবে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ হিসেবে

আপডেট সময় ১০:২১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

 

আগামী সংসদকে ৯ মাস বা ২৭০ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ অনুযায়ী সংবিধান সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই সময় সংসদ একই সঙ্গে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ হিসেবে কাজ করবে। এ সংক্রান্ত শর্তগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে প্রস্তাবিত ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ-২০২৫’–এ।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংস্কার বাস্তবায়ন কীভাবে সংসদের জন্য বাধ্যতামূলক করা যায়— সে বিষয়েও প্রস্তাবিত আদেশে বিশেষ ধারা যুক্ত করার প্রস্তাব উঠেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও বিশেষজ্ঞ প্যানেলের দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত ও আলোচনা হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, সাংবিধানিক সংস্কার অনুমোদনে সাধারণ নাকি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হবে— সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে কমিশন ও বিশেষজ্ঞরা একমত হয়েছেন, সংস্কার নিয়ে গণভোট হবে একটি মাত্র প্রশ্নে।

গণভোটে জনগণের মতামত নেওয়া হবে প্রশ্নে— ‘আপনি কি আদেশ ও সংস্কার সমর্থন করেন?’—এর উত্তরে ভোটাররা দেবেন শুধু ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’। জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর যেসব বিষয়ে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ রয়েছে, তা গণভোটের প্রশ্নে অন্তর্ভুক্ত হবে না।

গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনে দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ঐকমত্য কমিশন ও বিশেষজ্ঞ প্যানেলের বৈঠক চলে। এর আগে বুধবারও তিন ঘণ্টার বৈঠক হয়। দুই দিনে মোট ১০ ঘণ্টার আলোচনা হলেও ‘জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান সংস্কার) আদেশ’–এর খসড়া এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। আদেশে কী কী থাকবে, তা বিস্তারিতভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে— তাই কিছুটা সময় লাগছে।”

আগামী শনিবার কমিশন ও বিশেষজ্ঞ প্যানেল আবার বৈঠকে বসবে। আশা করা হচ্ছে, সেদিনই খসড়া চূড়ান্ত করা যাবে। এর পর কমিশন জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি বিষয়ে সরকারকে এমন সুপারিশ দেবে, যা সরকারের জন্য সহজে কার্যকর করা সম্ভব হবে।