বাংলাদেশে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় বাজেটের একটি বড় অংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ রাখা হবে এবং শিক্ষার্থীদের দেওয়া প্রতিটি অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশন আয়োজিত মেধাবৃত্তি পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “বিশ্ব এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের যুগে প্রবেশ করেছে। জ্ঞান, মেধা ও দক্ষতার প্রতিযোগিতা এখন বিশ্বজুড়ে। মাদ্রাসা বা স্কুল—যেখানেই পড়ো না কেন, আধুনিক ও ব্যবহারিক শিক্ষায় দক্ষ না হলে সম্মান নিয়ে টিকে থাকা সম্ভব নয়।”
তিনি আরও বলেন, বিএনপি আগামী দিনের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গড়ে তুলতে কাজ করছে। মেধা বিকাশে নিয়মিত অনুশীলন, সঠিক পরিচর্যা ও দৃঢ় ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন—এ কথাও শিক্ষার্থীদের স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
গণতন্ত্রের পুনরুত্থানের দাবি
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, দেশবাসীর একমাত্র চাওয়া এখন একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। তিনি জানান, রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফার ২৪ নম্বর ধারায় নারী ও শিশুর অধিকারের সুরক্ষার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “খুব শিগগিরই দেশে ফিরে এসে তারেক রহমান বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।”
মঈন খান আরও বলেন, ২৫ বছর আগে রাজনৈতিক ময়দানে নতুন ধারা তৈরি করেছিলেন তারেক রহমান। আজও তিনি দূর প্রবাসে থেকেও দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যুক্ত থাকছেন—এটাই প্রমাণ করে তিনি জনগণের রাজনীতি করেন।
শিক্ষার্থীদের উৎসবমুখর উপস্থিতি
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম। এছাড়া বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, পাকুন্দিয়া উপজেলার ৮৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০ হাজার ২১১ জন শিক্ষার্থী চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে এই মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। শীর্ষ ৪০ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয় এবং অংশগ্রহণকারী সবার জন্য ছিল সান্ত্বনা পুরস্কার।

ডেস্ক রিপোর্ট 






















