ঢাকা , শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
দলগুলো না পারলে গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: প্রেস সচিব কিছু ভুলের জন্য এনসিপিকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে: জিল্লুর রহমান মিশরের উদ্দেশ্যে এনসিপি নেতা সারজিস আলম  সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করায় খুন হন ছাত্রদল নেতা সাম্য বাংলাদেশ সীমান্তের পাশে শিলিগুঁড়ি করিডরে তিন সেনা ঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত আগামী ১৫ নভেম্বর বদলে যাচ্ছে পুলিশ ইউনিফর্ম! সরাসরি করাচি-চট্টগ্রাম শিপিং চালু করলো পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ‘ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান’ বিএনপির সঙ্গে জোট নয়, একক নির্বাচনের চিন্তা এনসিপির ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তুরস্কের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

সাত দফা দাবিতে জাগপার বিক্ষোভ মিছিল, সরকারের ‘অর্থপাচার-স্বৈরতন্ত্র’ অভিযোগ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১০:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

 

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সাত দফা দাবিতে দেশের বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। সোমবার পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ শেষে সোহরাওয়ার্দী পার্কে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাগপার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান সরকারকে কঠোর সমালোচনা করে বলেন, শেখ হাসিনা উন্নয়নের নামে বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন, আর সেই মূল্য দিতে হচ্ছে দেশের মানুষকে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, চট্টগ্রামের টানেল প্রকল্পে প্রতিদিন রাষ্ট্রকে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে, মাত্র তিন বছরের মাথায় মেট্রোরেলে ফাটলসহ প্রাণহানির ঘটনা উন্নয়ন প্রকল্পের দুর্নীতির প্রমাণ। তার দাবি, “গুলি-আগুনের পাশাপাশি অর্থপাচারের উন্নয়ন দিয়েও মানুষ মারে শেখ হাসিনা।”

জুলাই সনদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা গণভোটকে গৌণ করে ৭২-এর সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে, তারা নতুন স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি আরও দাবি করেন, ক্ষমতা হারানোর পর আওয়ামী লীগ আজ পলাতক পরিস্থিতিতে, এবং “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তের সাথে বেইমানির বিচার একদিন হবেই।”

রাশেদ প্রধান আরও ঘোষণা দেন যে, “সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।” একইসঙ্গে তিনি জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানান। তার বক্তব্য, “৫ আগস্টের পর দেশ আর হিন্দুস্তানের কথায় চলবে না—দেশের সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ।”

এদিকে, সাত দফা দাবির আন্দোলনে দেশের জেলাগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল পরিচালনা করেন—দিনাজপুরে সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, নরসিংদীতে প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মো. শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রামে প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এম এম আনাছ, বগুড়ায় মো. শামীম আখতার পাইলট, গাইবান্ধায় সাংঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, রংপুরে জেলা সমন্বয়ক মাছুম বিল্লাহ, সাতক্ষীরায় আতাউর রহমান ফারুকী, জামালপুরে মো. শফিক মিয়া, ঢাকায় জেলা সহসভাপতি মো. ডালিম হোসেন এবং নীলফামারীতে জেলা সহ-সমন্বয়ক সাহাবুউদ্দিন সাবু।


 

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

দলগুলো না পারলে গণভোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: প্রেস সচিব

সাত দফা দাবিতে জাগপার বিক্ষোভ মিছিল, সরকারের ‘অর্থপাচার-স্বৈরতন্ত্র’ অভিযোগ

আপডেট সময় ১০:১৪:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

 

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সাত দফা দাবিতে দেশের বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। সোমবার পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ শেষে সোহরাওয়ার্দী পার্কে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাগপার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র রাশেদ প্রধান সরকারকে কঠোর সমালোচনা করে বলেন, শেখ হাসিনা উন্নয়নের নামে বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন, আর সেই মূল্য দিতে হচ্ছে দেশের মানুষকে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, চট্টগ্রামের টানেল প্রকল্পে প্রতিদিন রাষ্ট্রকে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে, মাত্র তিন বছরের মাথায় মেট্রোরেলে ফাটলসহ প্রাণহানির ঘটনা উন্নয়ন প্রকল্পের দুর্নীতির প্রমাণ। তার দাবি, “গুলি-আগুনের পাশাপাশি অর্থপাচারের উন্নয়ন দিয়েও মানুষ মারে শেখ হাসিনা।”

জুলাই সনদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা গণভোটকে গৌণ করে ৭২-এর সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে, তারা নতুন স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি আরও দাবি করেন, ক্ষমতা হারানোর পর আওয়ামী লীগ আজ পলাতক পরিস্থিতিতে, এবং “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তের সাথে বেইমানির বিচার একদিন হবেই।”

রাশেদ প্রধান আরও ঘোষণা দেন যে, “সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।” একইসঙ্গে তিনি জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি জানান। তার বক্তব্য, “৫ আগস্টের পর দেশ আর হিন্দুস্তানের কথায় চলবে না—দেশের সিদ্ধান্ত নেবে দেশের জনগণ।”

এদিকে, সাত দফা দাবির আন্দোলনে দেশের জেলাগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল পরিচালনা করেন—দিনাজপুরে সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, নরসিংদীতে প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মো. শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রামে প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এম এম আনাছ, বগুড়ায় মো. শামীম আখতার পাইলট, গাইবান্ধায় সাংঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, রংপুরে জেলা সমন্বয়ক মাছুম বিল্লাহ, সাতক্ষীরায় আতাউর রহমান ফারুকী, জামালপুরে মো. শফিক মিয়া, ঢাকায় জেলা সহসভাপতি মো. ডালিম হোসেন এবং নীলফামারীতে জেলা সহ-সমন্বয়ক সাহাবুউদ্দিন সাবু।