আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ভেতরের বা বাইরের যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাঁর সভাপতিত্বে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে হলে জনগণের কাছে যেতে হবে। ভোটদানের নিয়ম, কেন্দ্রের পরিবেশ, সম্ভাব্য ঝুঁকি ও করণীয় বিষয়ে ভোটারদের সচেতন করতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, “ভেতর থেকে ও বাইরে থেকে বড় ধরনের শক্তি নির্বাচন বানচালে সক্রিয় হতে পারে। হঠাৎ করে আক্রমণ আসতে পারে। নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে। যত ঝড় আসুক, আমাদের তা মোকাবিলা করতে হবে।”
প্রায় দুই ঘণ্টার বৈঠকে নির্বাচনকালীন পদায়ন, প্রশিক্ষণ, নিরাপত্তা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিসইনফরমেশন মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রেস সচিব জানান, নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নে জেলার গুরুত্ব ও কর্মকর্তাদের দক্ষতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। নিজ জেলা বা আত্মীয়–স্বজন মনোনীত এলাকায় কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হবে। আগের তিনটি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন—এমন কর্মকর্তাদেরও বিরত রাখা হবে যাতে নতুনরা যথাযথ প্রস্তুতির সময় পান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার মোকাবিলায় একটি সেন্ট্রাল ডিসইনফরমেশন মনিটরিং সেল এবং সেন্ট্রাল কমিউনিকেশন সেল গঠনের প্রস্তাব আসে বৈঠকে। প্রধান উপদেষ্টা গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত দ্রুত ফ্যাক্টচেকিং তথ্য পৌঁছে দেওয়ার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, “এআই দিয়ে ছবি–ভিডিও বানিয়ে অপপ্রচার চালানো হতে পারে। অপপ্রচার শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা থামাতে হবে—ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না।”
নির্বাচন-সংক্রান্ত প্রচার ও সচেতনতা কর্মকাণ্ডে তথ্য মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাসহ নির্বাচন কমিশন এবং বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।

ডেস্ক রিপোর্ট 



















