ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
৩৩ বছর পর জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু পাকিস্তান হাইকমিশনে এনসিপি প্রতিনিধিদলের বৈঠক ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ দুই সাবেক শিক্ষার্থী, ব্যালট বাক্স পরিবহনে উপস্থিতি বিতর্ক গুলশানের সাবেক ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম গ্রেফতার মধ্যরাতে ইসির সঙ্গে বৈঠকে ছাত্রদল নেতারা, প্রশ্ন তুলছে শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে ৯ নিহত, আহত শতাধিক দায়িত্ব নেওয়ার দিনেই মঞ্চে অজ্ঞান হলেন সুইডেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাকসু নির্বাচন: রাতের ভোটের ইঙ্গিত দিয়ে শেখ হাসিনাকে কটাক্ষ শিবির প্রার্থীর সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নেওয়া, ভিডিও মুছে ফেলার অভিযোগে উত্তেজনা জাকসু নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন শিবির সভাপতি

অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন, জরিমানা ১৮ হাজার টাকা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০২:০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৯৪ বার পড়া হয়েছে

 

 

মহেশখালী উপজেলার সবচেয়ে যানজটপ্রবণ এলাকা এবং ব্যাবসায়ীক কেন্দ্র হিসেবে অন্যতম বড় মহেশখালীর নতুনবাজার এলাকাটি। কয়েক বছর বছর ধরে কিছু সংখ্যক ব্যাক্তি রাজনৈতিক প্রভাব ও স্থানীয় পেশি শক্তির আশ্রয়ে সরকারি জমি ও ফুটপাত দখল করে গড়ে তুলেছিলো অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। সংকুচিত হয়ে পড়া রাস্তা ও দখলকৃত ফুটপাতের কারণে বাজারজুড়ে প্রতিনিয়ত তীব্র যানজট ও জনদুর্ভোগ দেখা দিচ্ছিল।

অবশেষে ১০ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ওই এলাকায় পরিচালিত হয় প্রশাসনের বিশেষ উচ্ছেদ অভিযান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হেদায়েত উল্লাহ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু জাফর মজুমদার, এবং বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত উল্লাহ বাবুলের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে পুলিশ, নৌবাহিনী ও আনসার বাহিনী অংশ নেয়। এ সময় ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা বহু স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হেদায়েত উল্লাহ জানান, আজ মোট ৯ জন দখলদারের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ অনুযায়ী মোট ১৮,০০০ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া বাজারের সকল ব্যবসায়ীর কাছে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, ভবিষ্যতে কেউ যেন ফুটপাত দখল করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।

অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় জনসাধারণ জানান, বাজারের স্বাভাবিক চলাচল ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তারা জোর দাবি জানান, ভবিষ্যতে কেউ যাতে আর সরকারি জমি বা ফুটপাত দখল করতে না পারে, সে জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনের আওতায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে বলে মত দেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, প্রতিদিন যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হতো। এখন বাজার কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে পাবে। আমরা চাই প্রশাসন এ ধরণের অভিযান নিয়মিত চালিয়ে যাক।

স্থানীয় ছাত্র প্রতিনিধি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, ফুটপাত দখলমুক্ত হওয়ায় এখন সাধারণ মানুষ নিরাপদে হাঁটতে পারছে। এটা আমাদের জন্য বড় স্বস্তি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে এবং বাজার এলাকায় নিয়মিত নজরদারি জোরদার করা হবে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

৩৩ বছর পর জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন, জরিমানা ১৮ হাজার টাকা

আপডেট সময় ০২:০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

 

মহেশখালী উপজেলার সবচেয়ে যানজটপ্রবণ এলাকা এবং ব্যাবসায়ীক কেন্দ্র হিসেবে অন্যতম বড় মহেশখালীর নতুনবাজার এলাকাটি। কয়েক বছর বছর ধরে কিছু সংখ্যক ব্যাক্তি রাজনৈতিক প্রভাব ও স্থানীয় পেশি শক্তির আশ্রয়ে সরকারি জমি ও ফুটপাত দখল করে গড়ে তুলেছিলো অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। সংকুচিত হয়ে পড়া রাস্তা ও দখলকৃত ফুটপাতের কারণে বাজারজুড়ে প্রতিনিয়ত তীব্র যানজট ও জনদুর্ভোগ দেখা দিচ্ছিল।

অবশেষে ১০ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ওই এলাকায় পরিচালিত হয় প্রশাসনের বিশেষ উচ্ছেদ অভিযান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হেদায়েত উল্লাহ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু জাফর মজুমদার, এবং বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত উল্লাহ বাবুলের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে পুলিশ, নৌবাহিনী ও আনসার বাহিনী অংশ নেয়। এ সময় ফুটপাত দখল করে গড়ে ওঠা বহু স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ হেদায়েত উল্লাহ জানান, আজ মোট ৯ জন দখলদারের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ অনুযায়ী মোট ১৮,০০০ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া বাজারের সকল ব্যবসায়ীর কাছে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, ভবিষ্যতে কেউ যেন ফুটপাত দখল করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।

অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে স্থানীয় জনসাধারণ জানান, বাজারের স্বাভাবিক চলাচল ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তারা জোর দাবি জানান, ভবিষ্যতে কেউ যাতে আর সরকারি জমি বা ফুটপাত দখল করতে না পারে, সে জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনের আওতায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে বলে মত দেন তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, প্রতিদিন যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হতো। এখন বাজার কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে পাবে। আমরা চাই প্রশাসন এ ধরণের অভিযান নিয়মিত চালিয়ে যাক।

স্থানীয় ছাত্র প্রতিনিধি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, ফুটপাত দখলমুক্ত হওয়ায় এখন সাধারণ মানুষ নিরাপদে হাঁটতে পারছে। এটা আমাদের জন্য বড় স্বস্তি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে এবং বাজার এলাকায় নিয়মিত নজরদারি জোরদার করা হবে।