রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর দ্রুত পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আধুনিক সুবিধা-সম্পন্ন চারতলা কার্গো ভিলেজ নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে ‘ফ্যাব্রিকেটেড স্ট্রাকচার’ নির্মাণে দক্ষ একটি প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে প্রেজেন্টেশন দিয়েছে। সরকারের লক্ষ্য— দ্রুত কার্গো ভিলেজ পুনর্গঠন করে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক করা।
উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে আধুনিক ডিজাইনের চারতলা ভবন নির্মাণ করে কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা হবে।
এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, প্রেজেন্টেশনে নতুন ভবনের নকশা, কাঠামোগত মূল্যায়ন, কনসালটেন্সি নিয়োগ ও টেকনিক্যাল কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে বুয়েট বর্তমান কাঠামোর নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব মূল্যায়ন করবে, এরপর প্রয়োজনীয় জায়গা ও নকশা নির্ধারণ করে নির্মাণকাজ শুরু হবে।
এদিকে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সংগঠনটি জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কার্গো ভিলেজে নিরাপত্তাহীনতা, গুদাম ব্যবস্থাপনার অনিয়ম ও পণ্য চুরির ঘটনা ঘটলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ইএবি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “অগ্নিকাণ্ড প্রমাণ করেছে কার্গো ভিলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অকার্যকর। এর দায় এড়াতে পারবে না কেউ— না সিভিল এভিয়েশন অথরিটি, না কাস্টমস, না বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।”
তিনি বিমা দাবিগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি ও বিমাবিহীন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তায় বিশেষ তহবিল গঠনের আহ্বান জানান। পাশাপাশি ওষুধ শিল্পের জন্য আলাদা শীত-নিয়ন্ত্রিত গুদাম, রাসায়নিক দ্রব্যের জন্য নিরাপদ দূরত্বে পৃথক স্টোরেজ এবং কার্গো ভিলেজ আধুনিকায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
নতুন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।

ডেস্ক রিপোর্ট 

























