ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
চকরিয়াতে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়িবহর আটকে রেখেছে বিএনপির লোকজন: হান্নান মাসুদ সালাউদ্দিনকে ‘গডফাদার’ ডাকায় উত্তাল কক্সবাজার, এনসিপির সমাবেশে ভাঙচুর চাঁদা নেব না, নিতেও দেব না: জামায়াত আমির বক্তব্যের মাঝে মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির মজলুমরা আজ জালিম হয়ে উঠছে: নুর জামায়াতের সমাবেশে দাওয়াত পায়নি বিএনপি বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদীদের জায়গা হবে না: জামায়াতের সমাবেশে সারজিস উগান্ডায় বোম পড়লেও কি বিএনপির দোষ?: পার্থ বর্তমানে আওয়ামী লীগ বলে কিছু নেই, এটি একটি মাফিয়া চক্রে পরিণত: সোহেল তাজ ভারতের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেওয়ায় আমার ছেলে শহীদ হয়: আবরার ফাহাদের বাবা

যশোর পাউবো রেস্ট হাউজে ওসিসহ নারী, ছাত্রদল নেতার ‘চাঁদাবাজি’ অভিযোগে তোলপাড়

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৬:১০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • ৭৯৩ বার পড়া হয়েছে

যশোরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) রেস্ট হাউজে পুলিশের এক কর্মকর্তা ও এক নারীকে ঘিরে চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি এবং টাকা লেনদেনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩০ জুন শহরের কপোতাক্ষ রেস্ট হাউজে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।

অভিযোগ অনুযায়ী, ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম ওইদিন সন্ধ্যায় এক নারীসহ রেস্ট হাউজে ওঠেন। ঘণ্টাখানেক পরে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসান সনি ও তার সহযোগীরা সেখানে গিয়ে প্রথমে দরজায় ধাক্কাধাক্কি এবং পরে ভাঙচুর ও ধস্তাধস্তিতে জড়ান। এক পর্যায়ে তারা ওসির কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন এবং শেষ পর্যন্ত দুই লাখ টাকায় ‘আপস’ হয় বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কেয়ারটেকার ও রেস্ট হাউজ ইনচার্জের বক্তব্য থেকে জানা যায়, ওসি ‘স্ত্রী পরিচয়ে’ ওই নারীকে নিয়ে কক্ষে ওঠেন এবং কক্ষ বুঝিয়ে দেন পাউবোর কর্মচারীরা। এরপর স্থানীয় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা গিয়ে টানাহেঁচড়া করে, কক্ষে ঢুকে পড়ে এবং ওসিকে টাকা দিতে বাধ্য করে। চক্রটি ভাঙচুরের পাশাপাশি কেয়ারটেকার ও আনসার সদস্যকে মারধর করে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে— ছাত্রদল নেতা সনি ওসি সাইফুলকে ঘিরে রেখেছেন, কক্ষে প্রবেশ করছেন, আবার পেছনের দরজা দিয়ে বের করে দিচ্ছেন। ভিডিওতে টাকা লেনদেনের কিছু অংশও ধরা পড়ে।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসি সাইফুল ইসলাম। তিনি দাবি করেন, তার যশোরে থাকা ছিল এক বন্ধুর সঙ্গে, আর ছাত্রদল নেতারা ছিলেন পূর্বপরিচিত। সেখানে কোনো অনৈতিক কিছু হয়নি, বরং তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

ছাত্রদল নেতা গোলাম হাসান সনিও ঘটনাকে অস্বীকার করে বলেন, তারা গিয়ে নারীকে পাননি এবং কোনো টাকা-পয়সা লেনদেন হয়নি।

তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চকরিয়াতে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়িবহর আটকে রেখেছে বিএনপির লোকজন: হান্নান মাসুদ

যশোর পাউবো রেস্ট হাউজে ওসিসহ নারী, ছাত্রদল নেতার ‘চাঁদাবাজি’ অভিযোগে তোলপাড়

আপডেট সময় ০৬:১০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

যশোরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) রেস্ট হাউজে পুলিশের এক কর্মকর্তা ও এক নারীকে ঘিরে চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি এবং টাকা লেনদেনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩০ জুন শহরের কপোতাক্ষ রেস্ট হাউজে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক।

অভিযোগ অনুযায়ী, ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম ওইদিন সন্ধ্যায় এক নারীসহ রেস্ট হাউজে ওঠেন। ঘণ্টাখানেক পরে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসান সনি ও তার সহযোগীরা সেখানে গিয়ে প্রথমে দরজায় ধাক্কাধাক্কি এবং পরে ভাঙচুর ও ধস্তাধস্তিতে জড়ান। এক পর্যায়ে তারা ওসির কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন এবং শেষ পর্যন্ত দুই লাখ টাকায় ‘আপস’ হয় বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কেয়ারটেকার ও রেস্ট হাউজ ইনচার্জের বক্তব্য থেকে জানা যায়, ওসি ‘স্ত্রী পরিচয়ে’ ওই নারীকে নিয়ে কক্ষে ওঠেন এবং কক্ষ বুঝিয়ে দেন পাউবোর কর্মচারীরা। এরপর স্থানীয় ছাত্রদল নেতাকর্মীরা গিয়ে টানাহেঁচড়া করে, কক্ষে ঢুকে পড়ে এবং ওসিকে টাকা দিতে বাধ্য করে। চক্রটি ভাঙচুরের পাশাপাশি কেয়ারটেকার ও আনসার সদস্যকে মারধর করে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে— ছাত্রদল নেতা সনি ওসি সাইফুলকে ঘিরে রেখেছেন, কক্ষে প্রবেশ করছেন, আবার পেছনের দরজা দিয়ে বের করে দিচ্ছেন। ভিডিওতে টাকা লেনদেনের কিছু অংশও ধরা পড়ে।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসি সাইফুল ইসলাম। তিনি দাবি করেন, তার যশোরে থাকা ছিল এক বন্ধুর সঙ্গে, আর ছাত্রদল নেতারা ছিলেন পূর্বপরিচিত। সেখানে কোনো অনৈতিক কিছু হয়নি, বরং তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

ছাত্রদল নেতা গোলাম হাসান সনিও ঘটনাকে অস্বীকার করে বলেন, তারা গিয়ে নারীকে পাননি এবং কোনো টাকা-পয়সা লেনদেন হয়নি।

তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।