ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে দেখা গেল ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে। পবিত্র আশুরার আগের দিন শনিবার (৫ জুলাই) তেহরানের ইমাম খোমেইনি মসজিদে আয়োজিত এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত হন। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিওতে তাকে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশনের অনুরোধ করতে দেখা যায়, যা সমর্থকদের মাঝে আবেগঘন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
গত ১৩ জুন শুরু হওয়া ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে এ পর্যন্ত বহু সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের আকস্মিক হামলার পর ১২ দিনের এই যুদ্ধে খামেনিকে দেখা না যাওয়ায় নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ধারণা করেছিলেন, তিনি হয়তো বাংকারে লুকিয়ে আছেন।
তবে আশুরার আগে তার সরাসরি উপস্থিতি শিয়া মুসলিমদের জন্য বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। প্রতি বছর আশুরার দিনে তার উপস্থিতি সাধারণত নিয়মিত থাকলেও এবার অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
এর আগে ২৬ জুন একটি রেকর্ড করা টিভি বার্তায় খামেনি বলেন, “ইরান কখনোই ইসরায়েলের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।”
প্রসঙ্গত, ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইসরায়েলের পক্ষে যুদ্ধে অংশ নেয় এবং ইরানের ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। এতে অংশ নেয় ১২৫টি মার্কিন সামরিক বিমান। ইরানের বিচার বিভাগের তথ্যমতে, এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৯০০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন।
খামেনির এই উপস্থিতি শুধু ধর্মীয় নয়, কৌশলগতভাবেও তাৎপর্যপূর্ণ। এটি একটি বার্তা যে, ইরান এখনও দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে এবং যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও নেতৃত্ব হারায়নি।