ঢাকা , শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
এনসিপির আহ্বায়ক কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে যুবলীগ নেতা মো. রকিবুল ইসলাম বাঁকা আঙ্গুল রাজনীতিতে বড় বিপদ : রাজ্জাকী টানা ৪১ দিন জামায়াতে নামাজ আদায়, ২০ মুসল্লি পুরস্কৃত জামায়াত নির্বাচন বানচালে আন্দোলন করছে কি না? জনমনে প্রশ্ন: প্রিন্স ১৫ নভেম্বর নতুন রঙের পোশাক পাচ্ছে পুলিশ, মানসিকতা পরিবর্তনের তাগিদ বিশ্লেষকদের আ.লীগ রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞার মধ্যেই পড়ে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ গণভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে : গোলাম পরওয়ার জামায়াত নেতার ‘নো হাংকি পাংকি’: এই হুমকি-ধমকি কার জন্য? এসব নাটক করবেন না, প্লিজ ১৬ ডিসেম্বর আ. লীগের মুক্তি হয়েছে, জাতির মুক্তি হয়েছে ৭ নভেম্বর: রিজভী একটি অশুভ শক্তি সংস্কার নিয়ে জটিলতা তৈরি করেছে: তাহের

প্রেমে ব্যর্থতা থেকে বিসিএস ক্যাডার: ঢাবির শাহীন আলম

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৭:৩৯:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • ৪১৮ বার পড়া হয়েছে

বেকারত্বের কারণে প্রেমিকা তাকে ছেড়ে গিয়েছিলেন। অভিমানে তিনি প্রেমিকার ফেরত দেওয়া উপহার পুড়িয়ে ভিডিও আপলোড করেছিলেন ফেসবুকে। সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহীন আলম এবার ৪৪তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।

শাহীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১২–১৩ সেশনের শিক্ষার্থী এবং হাজী মুহাম্মদ মুহসিন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। ২০২১ সালে বেকার অবস্থায় তার প্রেমিকা সম্পর্ক ছিন্ন করলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও তিনি হাল ছাড়েননি। বরং ব্যর্থতাকে প্রেরণায় পরিণত করে নতুন করে জীবন গড়ার লড়াই শুরু করেন।

ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার সন্তান শাহীন আলম তারাকান্দা এম.এল. উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও তারাকান্দা বঙ্গবন্ধু কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় টিউশন করে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যান তিনি।

বিসিএসে সফল হয়ে শাহীন আলম বলেন,

“আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া, আলহামদুলিল্লাহ। আজ ৪৪তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। আমার সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান আমার বড় ভাইয়ের, যিনি ছোটবেলা থেকে পাশে থেকেছেন।”

তিনি আরও জানান,

“এটি আমার পঞ্চম বিসিএস ছিল। আগের তিনবার আশানুরূপ ফল না পেলেও হাল ছাড়িনি। বিসিএস ছাড়া অন্য কোনো চাকরির প্রস্তুতি নেইনি। অনেক হতাশা কাজ করত, কিন্তু ধৈর্য রেখেছিলাম।”

বাবা-মা বেঁচে না থাকায় বড় বোনের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করা শাহীন বলেন,

“আমার বড় বোন ও দুলাভাই আমার সাফল্যের বড় অংশীদার।”

শাহীনের এই সাফল্য প্রমাণ করে, ব্যর্থতা কখনোই জীবনের শেষ নয়—অটল পরিশ্রমই পারে ভাগ্য বদলে দিতে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এনসিপির আহ্বায়ক কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে যুবলীগ নেতা মো. রকিবুল ইসলাম

প্রেমে ব্যর্থতা থেকে বিসিএস ক্যাডার: ঢাবির শাহীন আলম

আপডেট সময় ০৭:৩৯:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

বেকারত্বের কারণে প্রেমিকা তাকে ছেড়ে গিয়েছিলেন। অভিমানে তিনি প্রেমিকার ফেরত দেওয়া উপহার পুড়িয়ে ভিডিও আপলোড করেছিলেন ফেসবুকে। সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহীন আলম এবার ৪৪তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।

শাহীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১২–১৩ সেশনের শিক্ষার্থী এবং হাজী মুহাম্মদ মুহসিন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। ২০২১ সালে বেকার অবস্থায় তার প্রেমিকা সম্পর্ক ছিন্ন করলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও তিনি হাল ছাড়েননি। বরং ব্যর্থতাকে প্রেরণায় পরিণত করে নতুন করে জীবন গড়ার লড়াই শুরু করেন।

ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার সন্তান শাহীন আলম তারাকান্দা এম.এল. উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও তারাকান্দা বঙ্গবন্ধু কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় টিউশন করে নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যান তিনি।

বিসিএসে সফল হয়ে শাহীন আলম বলেন,

“আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া, আলহামদুলিল্লাহ। আজ ৪৪তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। আমার সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান আমার বড় ভাইয়ের, যিনি ছোটবেলা থেকে পাশে থেকেছেন।”

তিনি আরও জানান,

“এটি আমার পঞ্চম বিসিএস ছিল। আগের তিনবার আশানুরূপ ফল না পেলেও হাল ছাড়িনি। বিসিএস ছাড়া অন্য কোনো চাকরির প্রস্তুতি নেইনি। অনেক হতাশা কাজ করত, কিন্তু ধৈর্য রেখেছিলাম।”

বাবা-মা বেঁচে না থাকায় বড় বোনের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করা শাহীন বলেন,

“আমার বড় বোন ও দুলাভাই আমার সাফল্যের বড় অংশীদার।”

শাহীনের এই সাফল্য প্রমাণ করে, ব্যর্থতা কখনোই জীবনের শেষ নয়—অটল পরিশ্রমই পারে ভাগ্য বদলে দিতে।