জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মঞ্চে দুই দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত’ ব্যক্তিরা। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের ফটক টপকে তারা ভেতরে প্রবেশ করে দক্ষিণ প্লাজায় মঞ্চের সামনে অবস্থান নেন। দুপুর নাগাদ তারা অতিথিদের জন্য সাজানো চেয়ারে বসে পড়েন, আর মঞ্চ ও অতিথি আসনের মাঝখানে অবস্থান নেয় পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের দুটি মূল দাবি হলো— শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং সুরক্ষা ও দায়মুক্তি আইন প্রণয়ন। এই দাবিগুলো জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে তারা।
এদিকে, ‘ওয়ারিয়র্স অব জুলাই’ নামের সংগঠন তিন দফা দাবি জানিয়েছে— আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আইনি সুরক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, এবং এসব বিষয় সনদে অন্তর্ভুক্ত করা।
অন্যদিকে, জুলাই সনদ স্বাক্ষর নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন তৈরি হয়েছে। এনসিপি ঘোষণা দিয়েছে, বাস্তবায়নের আইনি নিশ্চয়তা ছাড়া তারা স্বাক্ষর করবে না। চার বাম দল নোট অব ডিসেন্টসহ সনদে সই করবে না বলে জানিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী বলেছে, বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া দেখেই তারা সিদ্ধান্ত নেবে। বিএনপি শর্ত দিয়েছে— অঙ্গীকারনামায় নোট অব ডিসেন্ট যুক্ত করতে হবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আয়োজনে আজ বিকেল চারটায় এই ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে বিভিন্ন দলের আপত্তি ও শহীদ পরিবারের অবস্থান কর্মসূচিতে অনুষ্ঠান ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে জাতীয় সংসদ এলাকায়।

ডেস্ক রিপোর্ট 

























