ঢাকা , রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
চকরিয়াতে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়িবহর আটকে রেখেছে বিএনপির লোকজন: হান্নান মাসুদ সালাউদ্দিনকে ‘গডফাদার’ ডাকায় উত্তাল কক্সবাজার, এনসিপির সমাবেশে ভাঙচুর চাঁদা নেব না, নিতেও দেব না: জামায়াত আমির বক্তব্যের মাঝে মঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়ে গেলেন জামায়াত আমির মজলুমরা আজ জালিম হয়ে উঠছে: নুর জামায়াতের সমাবেশে দাওয়াত পায়নি বিএনপি বাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদীদের জায়গা হবে না: জামায়াতের সমাবেশে সারজিস উগান্ডায় বোম পড়লেও কি বিএনপির দোষ?: পার্থ বর্তমানে আওয়ামী লীগ বলে কিছু নেই, এটি একটি মাফিয়া চক্রে পরিণত: সোহেল তাজ ভারতের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেওয়ায় আমার ছেলে শহীদ হয়: আবরার ফাহাদের বাবা

ইরানে হামলার গুঞ্জনের মাঝে তিন ঘাঁটিতে ৩০টি যুদ্ধবিমান পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৫:৫০:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • ৫০৪ বার পড়া হয়েছে

গত তিন দিনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপের কয়েকটি মার্কিন ঘাঁটির উদ্দেশে উড়ে গেছে অন্তত ৩০টি যুদ্ধবিমান। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ট্র্যাকিং সংস্থা ফ্লাইটরাডার ২৪ এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

বিবিসির নিজস্ব অনুসন্ধানে জানা গেছে, কেসি-১৩৫ নামের বিমানগুলো নামে যুদ্ধবিমান হলেও সাধারণত এগুলোকে যুদ্ধে ব্যবহার করা হয় না। এগুলো মূলত ট্যাংকার বিমান; অর্থাৎ অপারেশনে ব্যবহৃত যুদ্ধ ও বোমাবাহী বিমানগুলোতে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা কেসি-১৩৫ বিমানগুলোর কাজ। স্পেন, স্কটল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের মার্কিন ঘাঁটিগুলোর উদ্দেশে এ বিমানগুলো উড়ে গেছে বলে জানতে পেরেছে বিবিসি।

সাধারণ সময়ে এটি মনোযোগ আকর্ষণের মতো কোনো ঘটনা নয়; কারণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মার্কিন ঘাঁটির যুদ্ধবিমানগুলোর নিয়মিতই জ্বালানির প্রয়োজন হয় এবং সেই জ্বালানি পৌঁছে দেওয়ার জন্য মার্কিন সামরিক বাহিনী কেসি-১৩৫ এবং আরও কয়েকটি সিরিজের ট্যাংকার উড়োজাহাজ ব্যবহার করে।

কিন্তু বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত পরিস্থিতিতে মার্কিন ঘাঁটি থেকে তিন দিনে ৩০টি ট্যাংকার যুদ্ধবিমানের ইউরোপের সামরিক ঘাঁটির উদ্দেশে উড়ে যাওয়াকে ‘অত্যন্ত অস্বাভাবিক’ বলে মনে করছেন একাধিক আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

প্রসঙ্গত, ইরানে ইসরায়েল সংঘাতে এখনও সরাসরি অংশ না নিলেও যুক্তরাষ্ট্র যে এর সঙ্গে গভীরভাবে সংশ্লিষ্ট— তা ইতোমধ্যে প্রকাশিত। কারণ ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় আসার জন্য ইরানকে যে ডেডলাইন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দিয়েছিলেন, তা অতিক্রমের একদিন পরেই ইরানে বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।

এদিকে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের চতুর্থ দিনে দক্ষিণ চীন সাগরে যাত্রাপথ পরিবর্তন করে মধ্যপ্রাচ্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ইএসএস নিমিৎজ। এটি বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ও সমরাস্ত্র সজ্জিত রণতরী হিসেবে পরিচিত।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক সংস্থা রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিস ইনস্টিটিউট (রুসি)-এর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জাস্টিন ব্রঙ্ক বিবিসিকে এ প্রসঙ্গে বলেন, “ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাতের বর্তমানে যে অবস্থা, তাতে ইতোমধ্যে আঁচ পাওয়া যাচ্ছে যে সামনের সপ্তাহগুলোতে তা আরও ব্যাপক আকার নেবে; আর সংঘাত ঘনীভূত হলে যে কোনো সময় তাতে যে কোনো সময় ঢুকে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র। মাত্র তিন দিনের মধ্যে ৩৯টি ট্যাংকার বিমানের যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে উড়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে।”

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চকরিয়াতে জাতীয় নাগরিক পার্টির গাড়িবহর আটকে রেখেছে বিএনপির লোকজন: হান্নান মাসুদ

ইরানে হামলার গুঞ্জনের মাঝে তিন ঘাঁটিতে ৩০টি যুদ্ধবিমান পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় ০৫:৫০:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

গত তিন দিনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপের কয়েকটি মার্কিন ঘাঁটির উদ্দেশে উড়ে গেছে অন্তত ৩০টি যুদ্ধবিমান। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ট্র্যাকিং সংস্থা ফ্লাইটরাডার ২৪ এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

বিবিসির নিজস্ব অনুসন্ধানে জানা গেছে, কেসি-১৩৫ নামের বিমানগুলো নামে যুদ্ধবিমান হলেও সাধারণত এগুলোকে যুদ্ধে ব্যবহার করা হয় না। এগুলো মূলত ট্যাংকার বিমান; অর্থাৎ অপারেশনে ব্যবহৃত যুদ্ধ ও বোমাবাহী বিমানগুলোতে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা কেসি-১৩৫ বিমানগুলোর কাজ। স্পেন, স্কটল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের মার্কিন ঘাঁটিগুলোর উদ্দেশে এ বিমানগুলো উড়ে গেছে বলে জানতে পেরেছে বিবিসি।

সাধারণ সময়ে এটি মনোযোগ আকর্ষণের মতো কোনো ঘটনা নয়; কারণ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মার্কিন ঘাঁটির যুদ্ধবিমানগুলোর নিয়মিতই জ্বালানির প্রয়োজন হয় এবং সেই জ্বালানি পৌঁছে দেওয়ার জন্য মার্কিন সামরিক বাহিনী কেসি-১৩৫ এবং আরও কয়েকটি সিরিজের ট্যাংকার উড়োজাহাজ ব্যবহার করে।

কিন্তু বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল সংঘাত পরিস্থিতিতে মার্কিন ঘাঁটি থেকে তিন দিনে ৩০টি ট্যাংকার যুদ্ধবিমানের ইউরোপের সামরিক ঘাঁটির উদ্দেশে উড়ে যাওয়াকে ‘অত্যন্ত অস্বাভাবিক’ বলে মনে করছেন একাধিক আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

প্রসঙ্গত, ইরানে ইসরায়েল সংঘাতে এখনও সরাসরি অংশ না নিলেও যুক্তরাষ্ট্র যে এর সঙ্গে গভীরভাবে সংশ্লিষ্ট— তা ইতোমধ্যে প্রকাশিত। কারণ ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতায় আসার জন্য ইরানকে যে ডেডলাইন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দিয়েছিলেন, তা অতিক্রমের একদিন পরেই ইরানে বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।

এদিকে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের চতুর্থ দিনে দক্ষিণ চীন সাগরে যাত্রাপথ পরিবর্তন করে মধ্যপ্রাচ্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ইএসএস নিমিৎজ। এটি বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ও সমরাস্ত্র সজ্জিত রণতরী হিসেবে পরিচিত।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক সংস্থা রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিস ইনস্টিটিউট (রুসি)-এর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জাস্টিন ব্রঙ্ক বিবিসিকে এ প্রসঙ্গে বলেন, “ইরান ও ইসরায়েলের সংঘাতের বর্তমানে যে অবস্থা, তাতে ইতোমধ্যে আঁচ পাওয়া যাচ্ছে যে সামনের সপ্তাহগুলোতে তা আরও ব্যাপক আকার নেবে; আর সংঘাত ঘনীভূত হলে যে কোনো সময় তাতে যে কোনো সময় ঢুকে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র। মাত্র তিন দিনের মধ্যে ৩৯টি ট্যাংকার বিমানের যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে উড়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে।”