ইরানের হামলা মোকাবিলা করতে পারছে না ইসরায়েল। দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে একের পর এক হামলায় ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান এখনো তার সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারই করেনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সির এক বিশ্লেষণে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ইরান এখনো তাদের নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেনি। ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা কৌশলকে অকার্যকর করতে ইরান বেশ কিছু কৌশল নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে একযোগে রাতে এবং দিনে হামলা চালানো, যার ফলে ইসরায়েল পুনর্গঠনের সুযোগ পাচ্ছে না। এছাড়া প্রতারণামূলক অপারেশন এবং প্রকৃত হামলার সমন্বয়ের মাধ্যমে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।
ইরান এসব হামলায় ব্যালিস্টিক মিসাইল এবং সুইসাইড ড্রোনসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো থ্যাড, আয়রন ডোম এবং ডেভিডস স্লিংয়ের মতো আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেও ভেদ করতে সক্ষম, যার ফলে ইসরায়েলের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা হারিয়েছে।
তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, ইরানের এই প্রতিশোধমূলক হামলা কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ নয়, বরং দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উত্তর থেকে দক্ষিণ পর্যন্ত বিস্তৃত। তাদের কাছে ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি, তেল শোধনাগার এবং গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর একটি বিশাল তথ্যভাণ্ডার রয়েছে, যা ব্যবহার করে হামলা চালানো হচ্ছে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনী বারবার সতর্ক করে বলেছে, দখলকৃত অঞ্চলের কোথাও আর নিরাপদ নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু ইরান এখনো তাদের দূরপাল্লার নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেনি, তাই ইসরায়েলের জন্য অপ্রত্যাশিত ও কৌশলগত হামলার এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।