৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর আত্মগোপনে চলে যান সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। আওয়ামী লীগের পতনের আগাম ধারণা পেয়ে ১ আগস্টই তিনি পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেন। আগস্টের শেষ দিকে ভারত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। বর্তমানে টেক্সাসের ডালাসে সপরিবার বিলাসী জীবনযাপন করছেন হারুন, যেখানে তার একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র বলছে, দেশে অর্জিত অবৈধ অর্থ পাচার করে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্তত ছয়টি দেশে গড়ে তুলেছেন বিশাল ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের নিউ হাইড পার্ক এলাকায় স্ত্রীর নামে ৫ মিলিয়ন ডলারে বাড়ি কিনেছেন হারুন। এফবিআইয়ের তদন্তে তার স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১,৫৩২ কোটি টাকার লেনদেন শনাক্ত হয়, যা বর্তমানে স্থগিত রয়েছে।
দুবাই, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, তুরস্ক ও সুইজারল্যান্ডেও রয়েছে হারুনের নামে-বেনামে সম্পদ। দুবাইয়ে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, রেস্টুরেন্ট ও মানি এক্সচেঞ্জ; মালয়েশিয়ায় রেস্তোরাঁ ও সেকেন্ড হোম স্কিমে বিনিয়োগ; তুরস্কে নাগরিকত্ব ও বিনিয়োগ—সব মিলে এক আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন তিনি।
হারুনের পরিচালিত মানি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে দেশ থেকে অর্থ পাচারের প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি। পুরানা পল্টনে অবস্থিত ওই এক্সচেঞ্জের শাখা রয়েছে দুবাই, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর ও ইস্তাম্বুলে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হারুন, তার স্ত্রী শিরিন আক্তার ও ভাই এ বি এম শাহরিয়ারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের তিনটি মামলা করেছে। হারুনের বিরুদ্ধে ১৭ কোটি ৫১ লাখ, স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৭৬ লাখ এবং ভাইয়ের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৯৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত ইতিমধ্যে হারুনের দেশীয় সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছে।
দেশে জব্দ হলেও বিদেশে হারুনের বিপুল সম্পদ এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

ডেস্ক রিপোর্ট 






















