রাশিয়া ইরানের সঙ্গে সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই তথ্য জানান।
পেসকভ বলেন, ‘রাশিয়া অবশ্যই ইরানের সঙ্গে সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে প্রস্তুত। ইরান আমাদের অংশীদার, আর আমাদের সম্পর্ক দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।’
রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছিল মস্কো। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল দাবি করেছিল, এই হামলার লক্ষ্য ছিল তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা। তবে ইরান বরাবরই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
পেসকভ আরও বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ইরানের ওপর ‘অতিরিক্ত চাপ’ দিচ্ছে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে, যা পরিস্থিতিকে ‘খুব জটিল’ করে তুলেছে।
এদিনই পুতিনের এক বিশেষ দূত তেহরানে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলি লারিজানির সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। গত সপ্তাহেই লারিজানি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলেন।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে পুতিন ও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেন। যদিও এতে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতার কোনো ধারা অন্তর্ভুক্ত নেই। মস্কো বলেছে, তারা বৈধভাবে তেহরানকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে, অন্যদিকে ইরান রাশিয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ড্রোন দিয়েছে।
গত মাসে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক জ্বালানি প্রতিষ্ঠান রোসাটম ইরানের সঙ্গে ২৫ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করেছে চারটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য। বিদ্যুৎ ঘাটতিতে ভুগতে থাকা ইরানের বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চলীয় বুশেহর শহরে রাশিয়া নির্মিত একটি মাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রয়েছে।

ডেস্ক রিপোর্ট 

























