ভোলার বোরহানউদ্দিনে ইসলামী ছাত্রশিবিরের এক নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেল তিনটার দিকে বোরহানউদ্দিন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও লালদিঘীর মধ্যবর্তী স্থানে এ হামলা চালানো হয়।
আহত শিবির নেতা মো. রোমান (২২) বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. সোহাগ মিয়ার ছেলে।
রোমান জানান, “তারা আমাকে ডেকে বলে, ‘তুই নেতাগিরি করস!’ এরপর বুকে ঘুষি মারে এবং প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে পায়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। আমি মাটিতে পড়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়।”
স্থানীয়রা আহত রোমানকে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
উপজেলা শিবির সভাপতি মইন বিন সাইফুল্লাহ বলেন, “রোমানকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। পরবর্তীতে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
বোরহানউদ্দিন উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমির বলেন, “৫ আগস্টের পর থেকে রাজনৈতিক সহাবস্থান বজায় রয়েছে। হঠাৎ করে কে বা কারা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে এ হামলা চালিয়েছে, আমরা জানি না। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।”
অন্যদিকে উপজেলা পূর্ব শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির এক বিবৃতিতে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “এই কাপুরুষোচিত হামলা কেবল একজন তরুণ সংগঠকের উপর নয়, এটি দেশের শান্তিপ্রিয় শিক্ষার্থী সমাজের উপর আঘাত। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এখন সময়ের দাবি।”
ভোলা-২ আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক মুফতি মো. ফজলুল করীম এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুফতি ইমাম মো. রেযাউল করীম বুরহানী উভয়েই হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, “ঘটনা শোনার পর ডিউটি অফিসারকে সাধারণ ডায়েরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

ডেস্ক রিপোর্ট 






















