ঢাকা , বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
অতিরিক্ত ভাড়া  ও যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, গণধোলাই খেলেন টিটিই আলোচিত সেই দুদক কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিনকে চাকরি ফেরত দেয়ার নির্দেশ গাজা খালি করে ‘মানবিক শহর’ গড়ে তোলার ঘোষণা ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ১৪৪ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছে: নাছির উদ্দিন এখন আর শেখ হাসিনার পালানোর পথ নেই: প্রেস সচিব এমন বৃষ্টি থাকবে কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস চীন সফরে যাচ্ছে জামায়াতের প্রতিনিধিদল ভারতের ঢলে ভেঙে গেল ৩ নদীর বাঁধ, ডুবে গেল ৩০ গ্রাম কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো আরও এক শিক্ষার্থীর মরদেহ ইরানের হাতে এসেছে চীনের আধুনিক হিউ কিউ-৯ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল

ইসরায়েলের গাজা অভিযান ব্যর্থ: সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান লাপিদের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ০৭:৪৯:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
  • ২৩৪ বার পড়া হয়েছে

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদ। তিনি মনে করেন, ইসরায়েল এখন একটি অচলাবস্থায় পৌঁছে গেছে এবং গাজায় যা করা হচ্ছে তা আর ফলপ্রসূ নয়। এজন্য তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে এই অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লাপিদ লেখেন, “গাজায় আমরা যা করছি, তা আর কাজ করছে না। এই যুদ্ধ একটি অচলাবস্থা তৈরি করেছে এবং এখন সময় এসেছে গাজায় সামরিক অভিযান থামানোর। যখন কোনো কৌশল ব্যর্থ হয়, তখন তা পরিত্যাগ করতে হয়।”

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে ঢুকে হামলা চালায়। এতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর প্রতিশোধ হিসেবে সেইদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এই অভিযানে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত গাজায় ৫৬ হাজার ৩৬৫ জন নিহত ও ১ লাখ ৩২ হাজার ২৩৯ জন আহত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের মধ্যস্থতায় চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও মাত্র দুই মাসের মধ্যেই ১৮ মার্চ আবারও গাজায় আক্রমণ শুরু করে। সেই সঙ্গে শুরু হয় খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহে বাধা, ফলে গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, এখনো হামাসের হাতে কমপক্ষে ৩৫ জন ইসরায়েলি জিম্মি হয়ে আছেন। আইডিএফ বলছে, সামরিক অভিযানের মাধ্যমেই তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

লাপিদ বলেন, গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর চেয়ে জিম্মিদের উদ্ধারের বিষয়টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তার মতে, এই যুদ্ধ থেকে ইসরায়েল আসলে কী অর্জন করছে, সেটি এখন আর কেউ বুঝতে পারছে না।

এদিকে, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল একাধিকবার গাজায় অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। এমনকি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলাও হয়েছে। যদিও যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার মধ্যস্থতা করলেও এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

অতিরিক্ত ভাড়া  ও যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, গণধোলাই খেলেন টিটিই

ইসরায়েলের গাজা অভিযান ব্যর্থ: সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান লাপিদের

আপডেট সময় ০৭:৪৯:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা ইয়াইর লাপিদ। তিনি মনে করেন, ইসরায়েল এখন একটি অচলাবস্থায় পৌঁছে গেছে এবং গাজায় যা করা হচ্ছে তা আর ফলপ্রসূ নয়। এজন্য তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে এই অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে লাপিদ লেখেন, “গাজায় আমরা যা করছি, তা আর কাজ করছে না। এই যুদ্ধ একটি অচলাবস্থা তৈরি করেছে এবং এখন সময় এসেছে গাজায় সামরিক অভিযান থামানোর। যখন কোনো কৌশল ব্যর্থ হয়, তখন তা পরিত্যাগ করতে হয়।”

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে ঢুকে হামলা চালায়। এতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর প্রতিশোধ হিসেবে সেইদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এই অভিযানে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত গাজায় ৫৬ হাজার ৩৬৫ জন নিহত ও ১ লাখ ৩২ হাজার ২৩৯ জন আহত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের মধ্যস্থতায় চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও মাত্র দুই মাসের মধ্যেই ১৮ মার্চ আবারও গাজায় আক্রমণ শুরু করে। সেই সঙ্গে শুরু হয় খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহে বাধা, ফলে গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়। ধারণা করা হচ্ছে, এখনো হামাসের হাতে কমপক্ষে ৩৫ জন ইসরায়েলি জিম্মি হয়ে আছেন। আইডিএফ বলছে, সামরিক অভিযানের মাধ্যমেই তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

লাপিদ বলেন, গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর চেয়ে জিম্মিদের উদ্ধারের বিষয়টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তার মতে, এই যুদ্ধ থেকে ইসরায়েল আসলে কী অর্জন করছে, সেটি এখন আর কেউ বুঝতে পারছে না।

এদিকে, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল একাধিকবার গাজায় অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। এমনকি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলাও হয়েছে। যদিও যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার মধ্যস্থতা করলেও এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি