ঢাকা , শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম ::
হরমুজ প্রণালী বন্ধ করল ইরান, তেলের বাজারে উত্তেজনা জুলাই সনদ ছাড়া নির্বাচন নয়”—তারেক-ইউনূস বৈঠক নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর অজ্ঞাত স্থানে নেতানিয়াহু, নিহত ইরানের শীর্ষ জেনারেলরা ইরানে ইসরায়েলের হামলাকে ‘আইন লঙ্ঘন’ বললো জর্ডান, তীব্র প্রতিক্রিয়ায় মুসলিম বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক মহল ভাড়া গাড়ীতে প্রেসের স্টিকার,  সেনাবাহিনীর হাতে ধরা, করা হলো জরিমানা তারেক রহমান বললেন, খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূস জাতিকে দিকনির্দেশনা দেবেন বিএনপির সহযোগিতা এখন অভিশাপ: গলাচিপায় অবরুদ্ধের পর ক্ষোভে ফুঁসলেন ভিপি নুর” ইরানে ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ জেনারেল ও বিজ্ঞানীদের নিহতের ঘটনায় জামায়াতের তীব্র নিন্দা ও শোক প্রকাশ “বাংলার আকাশে মেঘ জমলে জিয়া পরিবার বৃষ্টি হয়ে আসে”—ছাত্রদল সম্পাদক নাছির উদ্দীনের মন্তব্য “কেয়ামত পর্যন্তও গৃহস্থালিতে গ্যাস-সংযোগ নয়” — জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান

খালেদা জিয়ার জন্য ‘কালো মানিক’ নিয়ে ঢাকার পথে কৃষক সোহাগ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় ১১:৫২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
  • ৬১৯ বার পড়া হয়েছে

এবার পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঝাটিবুনিয়া গ্রামের কৃষক সোহাগ মৃধা। ছয় বছর ধরে তিনি নিজের সন্তানের মতো পরম মমতায় লালন-পালন করে বড় করে তুলেছেন একটি ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়। ভালোবেসে যার নাম দিয়েছেন ‘কালো মানিক’। আজ বৃহস্পতিবার (০৫ মে) সকাল আটটার সময় সেই আদরের কালো মানিককে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন সোহাগ মৃধা।

খোজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ৩৫ মণ ওজনের, ১০ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার বিশাল এই ষাঁড়টি দেখে মুগ্ধ এলাকাবাসী। কুচকুচে কালো রঙের জন্যই কালো মানিক নামে ডাকা হয় তাকে। ষাঁড়টির এক সময় ১০ লাখ টাকা দাম উঠলেও বিক্রি করেননি সোহাগ। বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার হাতে উপহার তুলে দিতে মির্জাগঞ্জ থেকে রওনা দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে গেছেন।

এ জন্য ভাড়া করা হয়েছে তিনটি মিনি ট্রাক। সঙ্গে ছিল ব্যানার, বাজনার দল ও টি-শার্ট পরা সঙ্গীরা। সোহাগ বলেন, আজকে আমি গণতন্ত্রের মাকে গরুটি উপহার দিতে যাচ্ছি, আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আওয়ামী লীগ শাসনামলে ২০২৩ সালে সংবাদমাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক কৃষকের গরু উপহার দেওয়ার খবর দেখে আমার ইচ্ছা জেগেছিল যদি কখনো সুযোগ হয় আমিও আমার প্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে একটি গরু উপহার দেব।

তিনি বলেন, ‘এখন সুযোগ এসেছে, আল্লাহ যদি কবুল করেন এবং নেত্রী গরুটি গ্রহণ করলে আমার অনেক দিনের ইচ্ছা পূরণ হবে। আশা করি, নেত্রী আমাকে নিরাশ করবেন না।’ সোহাগ ২০১৮ সালের শেষের দিকে স্থানীয় চৈতা বাজার থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার টাকায় একটি ফ্রিজিয়ান গাভি কিনে লালন-পালন করেন। সপ্তাহ যেতে না যেতেই গরুটি বেশ বড়সড় একটি বকনা বাছুরের জন্ম দেয়। পরে গাভি গরুটি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন। বাছুরটিকে দেশীয় খাবার ভুসি, খইল, সবুজ ঘাস, খড়কুটা খাইয়ে অতি যত্নে ছয় বছর ধরে লালন-পালন করেন।

আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সোহাগ মৃধা বিএনপির একজন নিবেদিত কর্মী। পরিবারের সবার সহায়তায় ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি লালন-পালন করছেন।’ সোহাগ মৃধার মা হাজেরা বেগম বলেন, ‘ওর মন চাইছে, তাই ও এটা খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে চায়। আমরাও খুশি। ওর বাবা নেই। সামান্য জমি চাষাবাদ করে সংসার চালায়। ছোটবেলা থেকেই সোহাগ বিএনপিকে ভালোবাসে।’

সোহাগের স্ত্রী সুলতানা আক্তার পলি বলেন, ‘কালো মানিক আর আমার ছোট ছেলে একই বয়সের। ওদের একই রকম স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে লালন-পালন করেছি। ওর বাবার ইচ্ছা সে তার প্রিয় নেত্রীকে এটি উপহার দেবে। এমন ইচ্ছায় আমরাও খুশি।’ ২০১৮ সালের শেষ দিকে মাত্র ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকায় একটি গাভি কিনে যাত্রা শুরু করেন সোহাগ। সপ্তাহ না যেতেই গাভিটি জন্ম দেয় একটি বাছুরের, এই বাছুরই আজকের কালো মানিক। এরপর দীর্ঘ ছয় বছর ধরে পরিবারের সদস্যদের ভালোবাসা আর যত্নে বড় হয়ে ওঠে ষাঁড়টি।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

হরমুজ প্রণালী বন্ধ করল ইরান, তেলের বাজারে উত্তেজনা

খালেদা জিয়ার জন্য ‘কালো মানিক’ নিয়ে ঢাকার পথে কৃষক সোহাগ

আপডেট সময় ১১:৫২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

এবার পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঝাটিবুনিয়া গ্রামের কৃষক সোহাগ মৃধা। ছয় বছর ধরে তিনি নিজের সন্তানের মতো পরম মমতায় লালন-পালন করে বড় করে তুলেছেন একটি ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়। ভালোবেসে যার নাম দিয়েছেন ‘কালো মানিক’। আজ বৃহস্পতিবার (০৫ মে) সকাল আটটার সময় সেই আদরের কালো মানিককে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন সোহাগ মৃধা।

খোজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ৩৫ মণ ওজনের, ১০ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার বিশাল এই ষাঁড়টি দেখে মুগ্ধ এলাকাবাসী। কুচকুচে কালো রঙের জন্যই কালো মানিক নামে ডাকা হয় তাকে। ষাঁড়টির এক সময় ১০ লাখ টাকা দাম উঠলেও বিক্রি করেননি সোহাগ। বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার হাতে উপহার তুলে দিতে মির্জাগঞ্জ থেকে রওনা দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে গেছেন।

এ জন্য ভাড়া করা হয়েছে তিনটি মিনি ট্রাক। সঙ্গে ছিল ব্যানার, বাজনার দল ও টি-শার্ট পরা সঙ্গীরা। সোহাগ বলেন, আজকে আমি গণতন্ত্রের মাকে গরুটি উপহার দিতে যাচ্ছি, আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আওয়ামী লীগ শাসনামলে ২০২৩ সালে সংবাদমাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক কৃষকের গরু উপহার দেওয়ার খবর দেখে আমার ইচ্ছা জেগেছিল যদি কখনো সুযোগ হয় আমিও আমার প্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে একটি গরু উপহার দেব।

তিনি বলেন, ‘এখন সুযোগ এসেছে, আল্লাহ যদি কবুল করেন এবং নেত্রী গরুটি গ্রহণ করলে আমার অনেক দিনের ইচ্ছা পূরণ হবে। আশা করি, নেত্রী আমাকে নিরাশ করবেন না।’ সোহাগ ২০১৮ সালের শেষের দিকে স্থানীয় চৈতা বাজার থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার টাকায় একটি ফ্রিজিয়ান গাভি কিনে লালন-পালন করেন। সপ্তাহ যেতে না যেতেই গরুটি বেশ বড়সড় একটি বকনা বাছুরের জন্ম দেয়। পরে গাভি গরুটি স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন। বাছুরটিকে দেশীয় খাবার ভুসি, খইল, সবুজ ঘাস, খড়কুটা খাইয়ে অতি যত্নে ছয় বছর ধরে লালন-পালন করেন।

আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সোহাগ মৃধা বিএনপির একজন নিবেদিত কর্মী। পরিবারের সবার সহায়তায় ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি লালন-পালন করছেন।’ সোহাগ মৃধার মা হাজেরা বেগম বলেন, ‘ওর মন চাইছে, তাই ও এটা খালেদা জিয়াকে উপহার দিতে চায়। আমরাও খুশি। ওর বাবা নেই। সামান্য জমি চাষাবাদ করে সংসার চালায়। ছোটবেলা থেকেই সোহাগ বিএনপিকে ভালোবাসে।’

সোহাগের স্ত্রী সুলতানা আক্তার পলি বলেন, ‘কালো মানিক আর আমার ছোট ছেলে একই বয়সের। ওদের একই রকম স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে লালন-পালন করেছি। ওর বাবার ইচ্ছা সে তার প্রিয় নেত্রীকে এটি উপহার দেবে। এমন ইচ্ছায় আমরাও খুশি।’ ২০১৮ সালের শেষ দিকে মাত্র ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকায় একটি গাভি কিনে যাত্রা শুরু করেন সোহাগ। সপ্তাহ না যেতেই গাভিটি জন্ম দেয় একটি বাছুরের, এই বাছুরই আজকের কালো মানিক। এরপর দীর্ঘ ছয় বছর ধরে পরিবারের সদস্যদের ভালোবাসা আর যত্নে বড় হয়ে ওঠে ষাঁড়টি।